নগরীর ফিশারিঘাট এলাকা থেকে কামরুল হোসেন (৪২) নামে এক বোটের মাঝিকে অপহরণের ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ৭১ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ছখিনা বেগম ওরফে হাছিনা ওরফে মর্জিনা (৪৬), মো. শাহজাহান ওরফে জয় (৩০) ও কনা বেগম (৩০)।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার ফিশারিঘাট থেকে কামরুলকে একটি গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। তাকে নিয়ে ফটিকছড়ির একটি পাহাড়ে আটকে রাখে। এর আগে তার সঙ্গে কয়েকজন নারীর অশ্লীল ছবি তুলে সেই ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ট্রলার মালিক শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অপহরণকারী চক্রকে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেন ট্রলার মালিক। এরপরও যখন কামরুলকে মুক্তি দেয়া হচ্ছিল না, তখন তারা থানায় আসে। পুলিশ অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের পর ভিকটিমকে উদ্ধার করে। দুই লাখ টাকা থেকে ৭১ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবির বলেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিম ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ি। কারণ তারা দুই লাখ টাকা নিয়েছে বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে। সেখানে মোবাইল নম্বর থাকলেও সিম খুলে রাখা হয়েছে। আরও একটি অ্যাপসের তথ্য পাই, সেটাতেও একইভাবে সীম নেই। ফলে কোনোভাবেই অবস্থান শনাক্ত করতে পারছিলাম না। এরপর গ্রেপ্তার শাহাজাহানের একটি পারসোনাল বিকাশ নম্বর ও একটি এজেন্ট নম্বর পাই। এর মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করি। পরে পতেঙ্গা ও হাটহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফটিকছড়ি থেকে অপহৃত মাঝিকে উদ্ধার করা হয়।