কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও হুমকির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেনের অভিযোগ, তাকে অফিসে ডেকে নিয়ে পিয়ন দিয়ে হেনস্তা করেছেন পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী। আর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদের অভিযোগ, যথাযথ সম্মান না করার অভিযোগ তুলে পিয়নকে গালিগালাজ ও তাকে (নির্বাহী প্রকৌশলীকে) হুমকি দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। গত সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।
প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, সোমবার রাতে ফোন দিয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমার সাথে দেখা করতে চান। আমি ওনাকে আসতে বলি। ওনি যখন আসেন তখন আমি একটা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে অনলাইনে যুক্ত ছিলাম। একারণে ওনাকে ২০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার অফিসের স্টাফদের গালিগালাজ ও কায়সার নামের এক অফিস সহকারীকে মারধর করেন। পরে মুঠোফোনে আমাকেও গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান, পাউবোর অফিস সহকারীকে প্রহার ও হুমকির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়াও জেলা প্রশাসক এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে অবহিত করিয়েছেন তিনি। এখন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন অভিযোগ করেন, এলাকার একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সোমবার রাতে অফিসে যেতে বলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে গেলে আমাকে মিটিংয়ের কথা বলে অফিস সহকারীর কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। ঘণ্টা-দেড়েক বসে থাকার পরও নির্বাহী প্রকৌশলীর ডাক না পাওয়ায় পাউবো অফিস থেকে চলে আসতে চাই। কিন্তু চলে আসার সময় নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়ন দিয়ে আবারো ডেকে নিয়ে যান এবং একই স্থানে বসান। তখন রাত প্রায় সোয়া ১০টা। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম বলেন, মিনিট দশেক পর পিয়ন রুমের ফ্যান-এসি সব বন্ধ করে চলে গেলে আমি অপমানিত হয়ে পুনরায় দোতলা থেকে নিচে নেমে আসি। এ সময় সেই পিয়নকে সামনে পেয়ে বলি, নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে ডেকে এভাবে হেনস্তা না করলেও পারতেন। এরপর পিয়ন গিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঘটনাটি জানালে তিনি নিচে এসে আমাকে হাত ধরে টেনে আবার উপরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।
সাদ্দাম আরো বলেন, আমি চলে আসার পর রাতে নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে কল করে বলেন- আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করার পরও আপনি চলে গেলেন। তখন আমি অফিসে বসিয়ে রেখে পিয়নের ফ্যান-এসি বন্ধ করে হেনস্তার বিষয়টি তাকে তুলে ধরি। তখন এসব বিষয়সহ আরো নানা বিষয়ে তার সাথে আমার বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা ঠিক নয়।