মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে, যার অনেক ঘটনাই যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল। জাতিসংঘ গতকাল মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে। মিয়ানমারে গতবছরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ এই প্রথম বিস্তারিত প্রতিবেদন দিল। খবর বিডিনিউজের। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী স্পষ্টতই মানুষের জীবনের কোনো তোয়াক্কা করছে না। তারা জনবহুল এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। ভারি অস্ত্র ব্যবহার করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিক নাগরিকদেরকে হামলার নিশানা করছে।
মিয়ানমারের মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে এক বিবৃতিতে ব্যাশেলেট আরও বলেন, অনেক মানুষেরই মাথায় গুলি করা হচ্ছে, পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে কিংবা মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। ব্যাশেলেট বলেন, যে ভয়াবহ মাত্রায় আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনে মিয়ানমারের মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে, তাতে তারা এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে একতাবদ্ধভাবে খুবই জোরাল এবং কঠোর ব্যবস্থা পাওয়ার দাবি রাখে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ফোনে মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও জবাব দেননি। সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটা দায়িত্ব আছে। তারা কোনো নৃশংস কোনোকিছু করার কথা অস্বীকার করেছে এবং অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দোষারোপ করেছে।