চলতি মাসে চাকরি স্থায়ী না করলে লাগাতার কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) কর্মরত অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বুধবার টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সংগঠনটির নেতৃৃবৃন্দ বলেন, তাদের এক দফা দাবি, চাকরি স্থায়ী করতে হবে। অনেকে ২০ বছরের অধিক সময় ধরে চাকরি করলেও স্থায়ী করা হয়নি। ২০২০ সালে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়া হলেও পরবর্তীতে আর হয়নি। এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উক্ত দাবিতে স্লোগান দেয়। পরে সিটি মেয়রের পক্ষে ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের, ৩২ নং আন্দরকিল্লাহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম এসে অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণে মেয়র আন্তরিক বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর শান্ত হয় আন্দোলনকারীরা। চসিক কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের আন্দোলকারীদের বলেন, স্থায়ীকরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মেয়র মহোদয় এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। সাধারণ সভায় ৫৫ জন কাউন্সিলরও স্থায়ীকরণে একমত হয়েছেন। কিন্তু একটি গাছ লাগালে তার ফল পেতে তো সময় লাগে। এ প্রসঙ্গে তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, মেয়রের পক্ষে তাদের আশ্বস্ত করেছি। কাউন্সিলরগণও তাদের পক্ষে আছেন। মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি দিয়েছি তার উত্তরের অপেক্ষায় আছি। মন্ত্রণালয়ের জবাবের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংগঠনের আহবায়ক আবু তাহের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল শ্রমিককে স্থায়ী করা না হলে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. দীপা ত্রিপুরা, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. সুমন তালুকদার, ডা. জুয়েল মহাজন, সদস্য সচিব সাজু মহাজন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জামশেদ মোহাম্মদ, লিটন বড়ুয়া, খাইরুল বশর তসলিম, কাজী হুমায়ন কবির, প্রভাষক জহিরুল আলম।
প্রসঙ্গত, চসিকে অনুমোদিত জনবল কাঠামোর বিপরীতে এক হাজার ৫৪৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। অথচ সংস্থাটিতে বর্তমানে অস্থায়ী কর্মরত আছেন সাত হাজার জন।