করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে খেলা চলছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। কিন্তু সেই সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়লেন এক দর্শক। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের এই ঘটনায় খুব একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন না বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি। তার মতে, মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ওই দর্শকের মৃদু স্পর্শের ঘটনা ঘটলেও তা কোভিড প্রটোকলের ‘ক্লোজ কন্টাক্ট’ নয়। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ইনিংসে চতুর্দশ ওভারের দ্বিতীয় বলটি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মোস্তাফিজ। এমন সময় হঠাৎ দেখা যায় নর্দার্ন গ্যালারির নিরাপত্তা বেষ্টনি টপকে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছেন মোহাম্মদ রাসেল নামে ১৮ বছর বয়সী এক দর্শক। পাঁচ-ছয় জন মাঠ কর্মী ছুটে যান তাকে ঠেকাতে। কিন্তু পারেননি তারা। তাদের এড়িয়ে সীমানার বিলবোর্ড পেরিয়ে ওই তরুণ পৌঁছে যান মাঠে। তাকে দেখে মাঝ মাঠের দিকে ছুটে যেতে থাকেন সব খেলোয়াড়। একটু এগিয়ে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আম্পায়ার তানভির আহমেদ। তার কাছাকাছি ছিলেন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের পা ছুঁয়ে মাটিতে মাথা দিয়ে সেজদার মতো ভঙ্গি করেন রাসেল। সে সময় তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন মোস্তাফিজ। এরপর একজন নিরাপত্তা কর্মী তাকে টানতে টানতে কিউরেটরের কক্ষের পাশের গেট দিয়ে বাইরে নিয়ে যান। সে সময় দ্বিতীয় বলটি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মোস্তাফিজ। তার হাতে বলও তুলে দিয়েছিলেন এক সতীর্থ। কিন্তু সুরক্ষা বলয়ের বাইরের একজনকে স্পর্শ করার ঘটনায় তাকে সরিয়ে নেওয়া হয় মাঠ থেকে। বাঁহাতি এই পেসারের কত দিন আইসোলেশনে থাকতে হতে পারে জানতে চাইলে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক জানান, এই ঘটনা খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন,‘তবুও আমরা সবাইকে পরীক্ষা করাব। আমাদের কালকে এমনিতেই সবার পরীক্ষা করানোর কথা। আমরা মনে করছি না, এটা খুব একটা প্রভাব ফেলবে।’ এদিকে খেলার মাঠে প্রবেশ করা সেই যুবককে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম রাসেল। সে রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা। মোস্তাফিজুর রহমানের বড় ফ্যান। কুমিল্লা শহরে তার বাড়ি। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাজা হতে পারে তার।