চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত ও অখালাসকৃত ফেব্রিক্স-রাসায়নিক পদার্থসহ ৪৪ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী ২১ জুন। নিলামকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এটি চলতি মাসের দ্বিতীয় নিলাম। এর আগে গত ৯ জুন ৬টি জাপানি গাড়িসহ ৭৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য নিলামে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, হাইড্রোলিক অ্যাসিড, ফিনিশিং এজেন্ট, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, কার্টন অ্যাকসোসরিজ, টেঙটাইল কেমিক্যাল, ফিনিশিং এজেন্ট, কাঁচা তুলা, ওয়াশিং ক্যামিকেল, জুতার ব্যাগ, প্লাস্টিক পণ্য এবং ব্যাটারি লিড।
জানা গেছে, গতকাল থেকে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়, যা চলবে আগামী ২০ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়া যাবে ২১ জুন দুপুর ২টার মধ্যে। এরপর বেলা আড়াইটায় বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বাঙ খোলা হবে।
এ উপলক্ষে বরাবরের মত কাস্টমসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) দপ্তরে দরপত্র জমা দেয়ার বঙ স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন আজাদীকে বলেন, কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে নিলাম কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। একইসাথে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কাজও চলমান।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এ সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো চার্জ পায় না।
