চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন উড়িরচরে ভূমিহীন পরিবার বাছাইয়ের লক্ষ্যে শুনানি চলছে। আগামী ২৩ মার্চ থেকে তৃতীয় ধাপে তিনদিনের শুনানি শুরু হবে। সিডিএসপি-বি প্রকল্পভুক্ত এলাকায় উপজেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি এই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি থেকে প্রথম দফায় শুরু হয় শুনানি। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে শুনানি হয়েছে ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি। দুই ধাপে ৩০৬ পরিবারের শুনানি নিয়েছে খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি। এরমধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৮৩ পরিবার নির্বাচিত করা হয়েছে যাদেরকে এই প্রকল্পের আওতায় খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত দেয়া যায়। এক্ষেত্রে এক পরিবারকে (স্বামী ও স্ত্রী) সর্বোচ্চ দেড় একর (স্থানীয় হিসাবে ৭৫ কড়া) খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হবে। তবে উড়িরচরে বসবাস করেন না কিন্তু খাসজমি দখলে আছে এ ধরণের পরিবারকে বন্দোবস্ত দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মামুন। তিনি আজাদীকে বলেন, উড়িরচরে স্থায়ী বাসিন্দা ব্যতিরেকে কাউকে আমরা বন্দোবস্ত দেব না। যারা দীর্ঘদিন ধরে উড়িরচরেই বসবাস করে আসছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই জমি বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া আগামী ২৩ থেকে ২৫ মার্চ ৩য় ধাপে শুনানি শুরু হবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট মামুন। উড়িরচর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জুয়েল (৪০) বলেন, খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির এই কার্যক্রমে লাভবান হবে প্রকৃত ভূমিহীন পরিবার, যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করে আসছে এই বিচ্ছিন্ন জনপদে। উড়িরচর জনতা বাজারের বাসিন্দা কেফায়েত উল্লাহ মামুন এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এর আগে আন্তঃ জেলা (চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা) সীমানা নির্ধারণ করলে ভালো হতো।