টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যবীমার প্রচলন করা সময়ের দাবি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা সংকটসহ পারিপার্শ্বিক সমস্যাগুলো অনভিপ্রেত, তা থেকে উত্তরণে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের যে আইন রয়েছে তার সংশোধন ও পরিবর্তনের জন্য এবং এসব পণ্যের ওপর কর আরোপ করে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘এসডিজি-৩ গুড হেলথ এন্ড ওয়েল বিংগ’ শীর্ষক সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ প্রফেসর হাবিবে মিল্লাত এমপি। এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নওমীর সঞ্চালনায় গত ১লা ফেব্রুয়ারি এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম ফেসবুক পেজ থেকে সমপ্রচারিত সরাসরি ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইসলামী ব্যাংকের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন।
প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ডা. কাজী শহীদুল আলম, ইউএসটিসির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বিএসএমএমইউর ডা. রেহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সভাপতি লায়ন সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও গবেষক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক আদনান মান্নান, ডা. সুফিয়ান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের সহকারি অধ্যাপক মিঁঞা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, লায়ন এম এ হোসেন বাদল, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সদস্য আশিক সায়েম, মিনহাজুর রহমান শিহাব, মনির খান প্রমুখ।
ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন বলেন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্বক সাফল্য অর্জন করেছে। করোনার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কিছুটা ভাটা পড়লেও চিকিৎসা খাতে করোনা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে যা কাজে লাগাতে পারলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। দেশের চিকিৎসক, গবেষকদের প্রয়োজনীয় গবেষণাখাতে উদ্বুদ্ধ করে তাদের গবেষণায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া জরুরি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।