মোবাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মেসেজ পাঠিয়ে জমিসহ টিনশেড ঘর উপহার পেয়েছে কঙবাজারের টেকনাফের কিশোর মোহাম্মদ মামুন। সে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকার দিনমজুর রমজান আলীর ছেলে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গতকাল সোমবার মামুনকে খাস জমির বন্দোবস্ত ও গৃহ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এ সময় পরিবারের অসহায়ত্ব দূর করতে একটি ইজিবাইক (টমটম) উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, টেকনাফের ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী ও হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলি।
কিশোর মামুন জানায়, অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাই ঘরবাড়ি চেয়ে মোবাইলে মেসেজ পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পরে মেসেজে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খোঁজ নেয়। অবশেষে আজ (সোমবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক। মামুন বলে, অবিশ্বাস্যও হলে সত্য, একটি মেসেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্নপূরণ করলেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এবং তিনি যেন শত বছর বেঁচে থাকেন, তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, একটি খুদে বার্তাও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি এড়ায়নি, যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ টেকনাফের মামুন। একটি বার্তায় মামুনের জীবন পাল্টে গেল। এতে প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের খোঁজখবর রাখেন। যতদূর সম্ভব দুঃখ লাঘব করে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গৃহহীন ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে টেকনাফের হ্নীলায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ২৮টি ঘরের নির্মাণ কাজ, সীমান্ত সড়ক ও কর্মসৃজন প্রকল্প পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।