আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি বইমেলা চলার সময় বন্দুকধারীদের হামলায় শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের গুলিবিনিময়ও হয়েছে বলে আজ সোমবার (২ নভেম্বর) জানিয়েছেন আফগান কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হামলায় আরও অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে এবং কয়েকঘন্টা বন্দুকযুদ্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিডিনিউজ
‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানায়, বন্দুকধারীরা সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানীতে সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘিরে ফেলে হামলা চালায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পলায়নপর শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হামলাকারীরা গুলি ছুড়েছে। যে শিক্ষার্থীকে তারা দেখেছে তাকেই গুলি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি বইমেলা চলার সময়ে এই হামলা হয়। বইমেলায় যোগ দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।
তালেবান এই হামলায় তাদের যোদ্ধারা জড়িত নয় বলে জানিয়েছে এবং হামলার নিন্দা করেছে। অন্য কোনও দলও তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একটি বিস্ফোরণের পর হামলা শুরু হয়। এরপর বন্দুকধারীদের সঙ্গে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলেছে।
উভয়পক্ষে কয়েকঘন্টা গুলিবিনিময়ের পর তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে হামলার অবসান ঘটে বলে জানিয়েছেন আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান।
আফগানিস্তানে ন্যাটোর ঊধ্র্বতন প্রতিনিধি স্টেফানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “১০ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানের বিদ্যাপীঠে এটি দ্বিতীয় হামলা। আফগান শিশু, তরুণদের স্কুলে যাওয়ার নিরাপত্তা থাকা প্রয়োজন।”
এর আগে গত মাসে কাবুলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছিল। যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
আফগানিস্তানে একটি শান্তিচুক্তির চেষ্টায় কাতারে সরকারি এবং তালেবান আলোচকদের চলমান বৈঠক এবং আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার মধ্যে দেশটিতে সম্প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে।