দিনে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘোষণা থেকে সরে এসেছেন ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে আলোচনার পর তার আশ্বাসে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ(আইএসপিএবি)।
আইএসপিএবি-এর সভাপতি আবদুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন। বিডিনিউজ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এ বিষয়ে আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে বৈঠক হবে। আগামীকালের ওই মিটিংয়ে কোনো সমাধান না আসলে আমরা আগামী শনিবার থেকে আবার ধর্মঘটে যাব।”
বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণের কাজ বন্ধ না করলে রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ এবং কেবল অপারেটর্স এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ (কোয়াব)।
তাদের এই ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন ব্যাংক খাতের কর্মকর্তারা।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে ব্যাংক ও মোবাইলে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্ভব হবে না বলে সতর্ক করেছিলেন তারা।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অনলাইনের ক্লাস নেওয়া বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের সময় পাল্টে সকালের বদলে রাতে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকালে বিষয়টির সুরাহায় উদ্যোগী হন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।
উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে আইএসপিএবি সভাপতি আবদুল হাকিম বলেন, “মাননীয় মন্ত্রী (মোস্তাফা জব্বার) আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি আমাদের সঙ্কট নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচন করবেন। এখন সে বৈঠকের জন্য দুই, তিন বা চার দিন যতই সময় লাগুক আমরা অপেক্ষা করব। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা ফলপ্রসূ সমাধান পাব।”
তার কথার পর মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমি বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যত দ্রুত পারি সিদ্ধান্ত নেব। এখন তিনি কবে আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন সেটা কিন্তু আমি এখনই বলতে পারব না।”