ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মাঠের আমন ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ক হলেই কেটে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা থেকে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয় : ১. জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল এবং সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ। ২. সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা। ৩. ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।
৪. উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া। ৫. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া।
৬. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া যায়। ৭. যেসব এলাকায় আমন ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে সেগুলো কাটার পরামর্শ দেওয়া।
৮. উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি ঢুকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। ৯. জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক সমন্বয় করা। ১০. স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ ও অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করা।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও ঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন কৌশল নিয়ে কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সমপ্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
