ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও দুটি হেলিকপ্টারও তৈরি বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে, মধ্যরাত নাগাদ এটি উপকূলে পুরোপুরি উঠে আসবে। খবর বিডিনিউজের।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলে মোতায়েনের জন্য নৌবাহিনী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় ১৭টি জাহাজ ত্রাণ সামগ্রীসহ প্রস্তুত বলে জানানো হয়। দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ-কন্টিজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় নৌবাহিনীর এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টারে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ করা হবে।
প্রথম ধাপে উদ্ধার কাজের জন্য নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র অভিযান’ কঙবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায় থাকবে আর ‘পদ্ম’ থাকবে কুতুবদিয়া ও বহিঃনোঙ্গর এলাকায়; ‘হাতিয়া’, ‘এলসিটি-১০৩’ ও ‘সন্দ্বীপ’ থাকবে হাতিয়া এলাকায়। ‘এলসিভিপি-১১’ পটুয়াখালী এলাকায় ও ‘এসসিভিপি-১২’ পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া খুলনার মোংলায় নৌবাহিনী জাহাজ ‘স্বাধীনতা’, ‘প্রত্যাশা’, ‘প্রত্যয়’, ‘ধলেশ্বরী’, ‘নির্মূল’, ও ‘অনুসন্ধান’ জরুরি উদ্ধার ও অনুসদ্ধানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় জাহাজ ‘অদম্য’, ‘অতন্দ্র’, ‘দুর্দান্ত’ ও ‘ধানসিঁড়ি’কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে বিশেষ মেডিকেল টিম। ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ অনুসন্ধানের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর অতিরিক্ত জাহাজ এবং কন্টিনজেন্টসমূহকে মোতায়েন করা হয় বলে আইএসপিআর থেকে জানানো হয়।
