বেশিরভাগ দোকান ও গুদামে পানি

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের নিচু এলাকা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের সময় চাক্তাই খাল ও কর্ণফুলী নদীতে পানি বেড়ে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের নিচু এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া নিচু এলাকার বেশিরভাগ দোকান ও গুদামে পানি ঢুকেছে করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টা থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে জোয়ারের পানির চাপ বাড়তে থাকে। জোয়ারের পানিতে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজার, আমির মার্কেট, আছদগঞ্জ, শুটকিপট্টি, ড্রামপট্টি, মধ্যম চাক্তাই ও সোবহান সওদাওগর রোডের নিচু এলাকার বেশিরভাগ দোকান ও গুদামে পানি প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকেরা মালামাল নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চাক্তাই খালের কর্ণফুলী মোহনায় জোয়ারের পানি প্রতিরোধক স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় সাড়ে চার বছর হতে চললেও এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে এখনো ব্যবসায়ীদের জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রতি বর্ষাতে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে স্থবির হয়ে যায় ব্যবসা-বাণিজ্য। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় দোকান-গুদামের প্রবেশমুখও উঁচু করেন। কিন্তু প্রতি বছরই বাড়ে জোয়ারের পানির উচ্চতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান হয়নি। প্রায় সাড়ে চার বছর আগে চাক্তাই ও রাজখালী খালের মোহনায় জোয়ারের পানি প্রতিরোধে স্লুইচগেট নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করে সিডিএ। কিন্তু সেই কাজ এখনো শেষ হয়নি। আপনারা জানেন, গত ২০১৭ সালের জুন-জুলাইয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ব্যবসায়ীরা তিনশত কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েন। তাই এখন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবেও যে এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, সেটি বলা মুশকিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানবীর (দ.) আদর্শ অনুসরণে মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব
পরবর্তী নিবন্ধ৮০% পরিপক্ব হলেই আমন কাটার নির্দেশ