মাত্র ২১ দিনে একজন গ্রাহককে ৮৯০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক চাকতাই শাখা, যার পুরোটাই মূলত আত্মসাৎ। দুদক জানিয়েছে, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে ঐ গ্রাহক সবমিলে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় ২১ দিনের সেই গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে ৩৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ২৫ জন হচ্ছেন ব্যবসায়ী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ইয়াছিন আরাফাত।
আসামিদের মধ্যে যে ৩৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন তারা হলেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, সাবেক পরিচালক মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, খুরশীদ উল আলম, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও কে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, সাবেক ডিএমডি ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি ও এএমডি মো. আলতাফ হোসেন, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, আবু ছাঈদ মুহাম্মদ ইদ্রিস ও সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার আমান উল্লাহ, চাকতাই শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমান এফএভিপি মোহাম্মদ আলী আজগর, চাকতাই শাখার সাবেক বিনিয়োগ ইনচার্জ খাজা মোহাম্মদ খালেদ, চাকতাই শাখার প্রধান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনজুর হাসান, ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ও দক্ষিণের অপর জোনপ্রধান ও এসইভিপি মিয়া মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।
২৫ ব্যবসায়ী হলেন, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার চৌধুরী, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন ট্রেড লিংকের মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন চৌধুরী, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশনের মোরশেদুল আলম, মেসার্স ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, রেইনবো কর্পোরেশনের রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, আনছার এন্টারপ্রাইজের আনছারুল আলম চৌধুরী, সোনালী ট্রেডার্সের সহিদুল আলম, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সের এম এ মোনায়েম, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউসের এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. গিয়াস উদ্দিন, এক্সক্লুসিভ বিজনেস হাউসের ফেরদৌস আহম্মদ বাপ্পি, এনেক্স বিজনেস কর্নারের আনোয়ারুল আজম, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউসের মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউসের মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং কর্পোরেশনের কাজী মেজবাহ উদ্দিন, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের এমডি মো. রাশেদুল আলম ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সবুর, স্যোসাল ট্রেড সেন্টারের আলী জহুর ও শাহ আমানত ট্রেডার্সের মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সরোয়ার চৌধুরী ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক চাকতাই শাখায় হিসাব খোলার পর ২৯ নভেম্বর ৮৯০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। ঋণ আবেদনের উদ্দেশ্য যাচাই–বাছাই, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা পণ্য সংরক্ষণের গোডাউন, মালিকের ব্যবসায়িক চরিত্র, বৈশিষ্ট্য, ব্যবসায়িক মূলধন, আর্থিক সক্ষমতা, ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা না করেই গ্রাহকের আবেদনটি পরের মাসেই অনুমোদন করা হয়। অথচ মিথ্যা বানোয়াট তথ্যের উপর ভিত্তি করে ঋণের আবেদনটি করা হয়েছিল। ঋণ বিতরণের সময় বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকের বিপুল অংকের ঋণ থাকলেও সে বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি বা কোয়ারি করা হয়নি, এমনকি সেসকল ব্যাংকের অনাপত্তি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তাও আমলে নেয়া হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ ক্রেডিট রেটিংয়ের উপর ভিত্তি করেই মাত্র ২১ দিনে একজন গ্রাহককে ৮৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে, যার বিপরীতে জামানতের পরিমাণ বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মাত্র ২৭০ কোটি টাকার এমটিডিআর। ব্যালেন্স শিটে বর্ণিত অবাস্তব আর্থিক উপাদান সমূহের সত্যতা যাচাই করতে আয়কর নথি, গ্রাহকের সম্পদের প্রমাণক কোনো কিছু যাচাই না করেই বিপুল পরিমাণ ঋণ অনুমোদন করা হয়।
অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক সাধারণ আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, কোনো রকম যাচাই বাছাই না করে গ্রাহকের প্রস্তাব মোতাবেক ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধি করে ঋণের পরিমাণ ৮৯০ কোটি থেকে ১ হাজার ১০০ কোটিতে উন্নীত করা হয়। নিয়োগের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না হয়ে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর মাত্র ৬ দিনে ৮৯০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয় এবং উক্ত অর্থ দিয়ে মেসার্স সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্টস এবং চেমন ইস্পাতের বিনিয়োগ ডিল সমন্বয় করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে পণ্য বা মালামাল ক্রয়পূর্বক তা বিক্রির জন্য অনুমোদন জ্ঞাপন করা হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নির্ধারিত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে সরাসরি সাপ্লাইয়ারের অনুকূলে শাখা পে–অর্ডার ইস্যু করে থাকেন। কিন্তু আলোচ্য গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে কোনো মালামাল ক্রয়–বিক্রয় না করেই শুধু পণ্যের কোটেশন, পণ্য মূল্যের বিল, ডেলিভারি চালানসহ পণ্য–ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত অন্যান্য সকল রেকর্ডপত্র সৃজন করে অনুমোদিত ঋণ বিতরণের জন্য প্রি–অডিট মেমো তৈরি করা হয়। সম্পূর্ণ যোগসাজশে প্রতারণা, জাল–জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ঋণ বিতরণপূর্বক আত্মত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করা হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিনিয়োগ বিতরণের স্বপক্ষে মালামাল ক্রয়ের প্রমাণক হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য কোনো ডকুমেন্টস যেমন পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত ট্রাক রিসিপ্ট, ভ্যাট পরিশোধের রেকর্ডপত্র, পণ্য সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত আকারের গোডাউন, গোডাউন রেজিস্ট্রার, পরিদর্শন প্রতিবেদন ইত্যাদি দেখাতে পারেনি। শুধুমাত্র কৃত্রিমভাবে অর্থ আত্মসাতের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহক ও সুবিধাভোগীরা যোগসাজশে কিছু রেকর্ডপত্র তৈরি করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, ঋণের অর্থের গতি প্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর কোনো প্রকার মালামাল ক্রয়–বিক্রয় ছাড়াই ভুয়া রেকর্ডপত্র সৃজন করে ডিল বা বিনিয়োগ হিসাব সৃষ্টি করে সাপ্লাইয়ার হিসেবে দেখানো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৪টি গ্রাহক প্রতিষ্ঠান জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজ এবং চৌধুরী বিজনেস হাউজ প্রত্যেকের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা করে সর্বমোট ২০০ কোটি পে–অর্ডার ইস্যু করা হয়। ২২ ডিসেম্বর উক্ত ব্যাংকের হিসাবে সাপ্লাইয়ার হিসেবে দেখানো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৪টি গ্রাহক প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্ড হোসাইন ট্রেড লিংক, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশনের অনুকূলে ৭৭ কোটি টাকার দুইটি এবং ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং কর্পোরেশনের অনুকূলে ৬৬ কোটি টাকার পে–অর্ডার ইস্যু করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর চৌধুরী বিজনেস হাউজ, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর অনুকূলে ৬৬ কোটি টাকা করে দুইটি, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে ৭৭ কোটি টাকার একটি এবং এনেক্স বিজনেস কর্নারের অনুকূলে ৬৬ কোটি টাকার ১টি পে–অর্ডার ইস্যু করা হয় এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং কর্পোরেশন এবং এক্সক্লুসিভ বিজনেস হাউজ প্রত্যেকের অনুকূলে ৬৬ কোটি টাকা করে মোট ৪টি পে–অর্ডার ইস্যু করে নগদায়ন করা হয় অর্থাৎ ১০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মাত্র ৬ দিনে ১৫টি পে–অর্ডারে সর্বমোট ৮৯০ কোটি টাকা বিতরণপূর্বক আত্মসাৎ করা হয়। এ ৮৯০ কোটি টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ১০টি গ্রাহকের হিসাব থেকে একই দিনে ৩০টি একাউন্ট পেয়ি চেকের মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখায় থাকা সোনালী ট্রেডার্সের চলতি হিসাবে ৪২২ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের চলতি হিসাবে ৪৬৭ কোটি টাকা নগদায়ন করার জন্য উক্ত সোনালী ট্রেডার্সের হিসাব থেকে একই শাখার একাউন্ট পেয়ি চেকের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক মেসার্স সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের বিনিয়োগ ডিল পরিশোধে ব্যবহৃত হয় এবং গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের চলতি হিসাবের ৪৬৭ কোটি টাকা একই শাখার চেমন ইস্পাতের ডিল পরিশোধে ব্যবহৃত হয়।
এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালে তৈরিকৃত সকল বিনিয়োগ ডিলের অর্থসমূহ বিভিন্ন শাখা ঘুরে পুনরায় গ্রাহকের বিনিয়োগ ডিল সমন্বয় করা হয়। এভাবে গৃহীত বিনিয়োগের অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করার জন্য স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৯০ কোটি টাকা যা পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর বিনিয়োগ সীমা ৮৯০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ হাজার কোটি টাকা এবং সর্বশেষ গত বছরের ৭ নভেম্বরের মঞ্জুরীপত্রের মাধ্যমে উক্ত বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত দৈনিক আজাদীকে বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল–জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে বিশাল অংকের এ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকেও আমলে নেওয়া হবে।