২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে পরিবেশ অধিদপ্তর

বাকলিয়া বড় মিয়া মসজিদের পুকুর ভরাট

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ মে, ২০২১ at ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

ক্রমেই মরে যাচ্ছে নগরীর কেবি আমান আলী রোডের পশ্চিম বাকলিয়া বড় মিয়া মসজিদ সংলগ্ন ৩৮ শতকের পুকুরটি। পুকুরটির চারিদিকে নির্মিত হয়েছে বহুতল আবাসিক স্থাপনা। একসময়ে মসজিদের মুসল্লিদের ওযুসহ স্থানীয়দের ব্যবহার্য পুকুর ছিল এটি। সময়ের পরিবর্তনে প্রভাবশালীরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুকুরটিকে ঘিলে ফেলার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুকুরের একপ্রান্তে ভরাট করে পাকা পিলার দিয়ে ৯শ বর্গফুটের বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০ জন বিবাদীর বিরুদ্ধে নগরীর বাকলিয়া থানায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী ফৌজদারী মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, বাকলিয়া থানাধীন বাকলিয়া মৌজার ঐতিহ্যবাহী বড় মিয়া মসজিদটির পাশের পুকুরটি পুকুর শ্রেণির হলেও এটির কোনো পাড় নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে করোনাকালীন লকডাউনে অফিস আদালত বন্ধের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুকুরটির একপাশ ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে তথ্য পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রায় ৬০ ফুট দৈর্য্য, ১৫ ফুট প্রস্থ হিসেবে ৯০০ বর্গফুটের পুকুর ভরাট করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেন। এরপর ঘটনায় জড়িতদের নোটিশ দিয়ে শুনানিতে ডাকে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত ২০ মে শুনানি হয়। পুকুরটির অংশীদারদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধি শুনানিতে অংশ নেন। শুনানির পর পুনরায় বিস্তারিত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দেন পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘নগরীতে একেরপর এক পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। সবাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, শিক্ষিত মানুষরাও পুকুর ভরাট করছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে আসবে। পশ্চিম বাকলিয়ার বড় মিয়া মসজিদটি অনেক পুরনো। পাশের পুকুরটির চারিদিকে আগে থেকেই বিল্ডিং উঠে গেছে। এখন রাস্তার পাশের দিকে নতুন করে ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএস খতিয়ানের তথ্য মতে পুকুরটি ৩৮ শতকের। এখন অনেক কমে গেছে। সবাই বহুতল ভবন তৈরি করে গিলে ফেলেছে। এখন নতুনভাবে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদ্রোহী নজরুল
পরবর্তী নিবন্ধস্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতার জোয়ার