২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা

| মঙ্গলবার , ১৮ মে, ২০২১ at ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বড় উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে সরকার। যার সম্ভাব্য আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা। তবে চলমান মেগা প্রকল্পেও বরাদ্দ নিশ্চিত করবে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় আজ মঙ্গলবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। জানা গেছে, করোনাকে সঙ্গী করেই উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যেতে চায় সরকার। তাই আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অর্থায়নে ১১ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। স্বাভাবিকভাবেই এবার গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যখাত। খবর বাংলানিউজের।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নেই। ভ্যাকসিন বের করতে হবে। অর্ডার দিয়ে আনতে হবে। ভ্যাকসিনেশনের কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। এ কাজটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। শুধু টিকাই নয়। সার্বিক স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নেবে সরকার। যার দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাবে দেশের মানুষ। তিনি আরও বলেন, আইসিইউ শয্যার সংখ্যা কম ছিল। অঙিজেন সরবরাহ যন্ত্রপাতির দুর্বলতা ছিল। সাধারণভাবেই আমরা ইতোমধ্যে কিছুটা কভার করেছি। আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আমাদের সামনে যেসব ঘাটতিগুলো এসেছে সেগুলো পূরণ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। মেগা প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহেও কার্পণ্য করা হবে না বরং দ্রুত দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো বড় প্রকল্প।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের স্বপ্নের কয়েকটা মেগা প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পথে। এসব প্রকল্পে অর্থ সরবরাহ করতেই হবে। কমিটমেন্ট করাই আছে। এসব প্রকল্পে যা বরাদ্দ লাগবে, এরা যা ব্যয় করতে পারবে, আমরা তা দেবো।
খাতভিত্তিক বরাদ্দের দিকে তাকালে দেখা যায়, আসছে অর্থবছরে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগখাত। বরাদ্দের পরিমাণ ৬১ হাজার ৭২১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে বরাদ্দ থাকছে ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, গৃহায়ণ কমিউনিটিখাতে ২৩ হাজার ৭৪৭ কেটি ২১ লাখ টাকা, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ থাকছে ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। তবে সার্বিক উন্নয়নখাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। কারণ এটাই এখন সবচেয়ে জনকল্যাণমুখী কাজ। এতে সরকারের ১৬ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা লাগবে। শুধু টাকা ঢাললেই হবে না। টাকা ম্যানেজ করতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে। অপব্যবহার যেন না হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাংকে সুশাসন আনতে ‘কঠোর’ হচ্ছে আইন
পরবর্তী নিবন্ধনারায়ণগঞ্জে রিমোট কন্ট্রোল চালিত বোমা উদ্ধার