১ হাজার ৪০২ কার্টন বিদেশি মদের চালান আটক

১৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

আট মাসের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আবারো বিপুল পরিমাণ মদের চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এবার ৪০ ফুটের কন্টেনারে কায়িক পরীক্ষায় বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ১ হাজার ৪০২ কার্টন ভর্তি ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার মদ পাওয়া যায়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘সোডা অ্যাশ লাইট’ ঘোষণায় আনা কন্টেনারটি বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ড থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার আটক করা হয়।

 

বৈধভাবে এলে আটককৃত মদের বিপরীতে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব পেত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টায় মিথ্যা ঘোষণায় আটককৃত মদের চালানটি আমদানি করা হয়।

জানা গেছে, রাজধানীর বংশালের হাজি আবদুল্লাহ সরকার লেনের বিসমিল্লাহ কর্পোরেশনের নামে এমভি ইন্টেগ্রা নামে জাহাজে করে কন্টেনারটি গত ১৩ মার্চ দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে ঘোষিত পণ্য ছিল ২৭ হাজার কেজি ‘সোডা অ্যাশ’। শিপিং এজেন্ট হচ্ছে নগরের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের ‘বিএস কার্গো শিপিং এজেন্সি’।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপকমিশনার সাইফুল হক দৈনিক আজাদীকে জানান, কায়িক পরীক্ষায় আটককৃত কন্টেনারে ভদকা, জনি ওয়াকার ডাবল ব্ল্যাক, ব্ল্যাক লেবেল, সিভাস রিগ্যাল, ব্যালেন্টাইনস স্কচ হুইস্কি ব্রান্ডের মদ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ

টাকা এবং এর সঙ্গে ১৪ কোটি ৯০ লাখ রাজস্ব জড়িত। তিনি বলেন, এআইআর টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং একই সাথে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে আন্তঃযোগাযোগের ফলে বিপুল রাজস্ব ফাঁকির এই ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে আমরা কন্টেনারটি ফোর্স কিপ ডাউন করি। বিকেলে কাস্টমস কর্মকর্তারা সেটি খুলে কায়িক পরীক্ষা করে।

এদিকে এনএসআই এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তরা জানান, দুবাই থেকে আসা কন্টেনারটির ভেতর সিগারেট অথবা মদ জাতীয় পণ্য রয়েছে বলে জানতে পারে তারা। যা কাস্টম কমিশনার ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করা হয় এবং তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে কন্টেনারটি নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার জন্য বলা

হয়। এরপর গত বুধবার রাত ৯টা থেকে কন্টেনারটি সার্বক্ষণিকভাবে এনএসআই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ইউনিট এর নজরদারিতে রাখা হয়। এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কন্টেনারটি অতি শীঘ্রই ফোর্স কিপ ডাউন করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এদিকে গোয়েন্দা তৎপরতা বুঝতে পেরে কন্টেনারটি বন্দর থেকে বের করার জন্য শিপিং এজেন্ট চেষ্টা চালিয়ে যায়। তার অংশ হিসেবে তারা কন্টেনারটি কিউনেস ডিপোর বিপরীতে সিসিটিসিএল ডিপোতে নেয়ার চেষ্টা করে বলে জানায় এনএসআই। সর্বশেষ গতকাল বিকেল ৫টার দিকে কায়িক পরীক্ষায় মদ পাওয়া যায় এ কন্টেনারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মদভর্তি একটি কন্টেনার আটক করে কাস্টমস। পরবর্তীতে কায়িক পরীক্ষায় সেখানে ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ পাওয়া যায়। এ ঘটনার আট মাসের মাথায় গতকাল মদের চালান আটকের ঘটনা ঘটে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহজের কাজে শনিবার খোলা থাকছে ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধউদ্বোধনের অপেক্ষায় ফেরি সার্ভিস