১৭ অক্টোবর খুলছে চবি খুলবে হল, চলবে শাটল

শতভাগ শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ টিকা নিশ্চিতে বাধ্যবাধকতা

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

আগামী অক্টোবর মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এরআগে শতভাগ শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে হবে। একই সময় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও শাটল চালু করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিন্ডিকেটের ৫৩৪তম এঙট্রা অর্ডিনারি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী আজাদীকে বলেন, আজকের (বৃহস্পতিবার) মিটিংয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে হল ও শাটলও চালু হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে পরবর্তী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অফিসিয়ালি আদেশ আসবে। তবে এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে হবে।
বর্তমান সময়ে পরিবহন ও আবাসন সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে, সেটা আমরাও বুঝতেছি। এখন পরীক্ষা বন্ধ রাখাও ঠিক হবে না। সাময়িক একটু কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা হয়ে গেলে ভালো। তিনি বলেন, অনেকদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে উদগ্রীব। ইতোমধ্যে খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, প্রথম ডোজ টিকা নিশ্চিত সাপেক্ষে অক্টোবরের ১৭ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা অনলাইন জরিপে যে তথ্য পেয়েছি তার মতে, চবির প্রায় ৩১% শিক্ষার্থী টিকার দুই ডোজ পেয়েছে। আরো ১৯% প্রথম ডোজ পেয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রায় অনেকেই টিকার আওতাভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু কর্মচারীরা বেশির ভাগই টিকা পাননি। সব মিলিয়ে দুই ডোজ হিসেব করে আমরা ৪৮ হাজার টিকার চাহিদা দিয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে।
তিনি বলেন, টিকা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এই টিকা দেয়া হবে। এতে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে পারবে। এমনটাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। টিকাগুলো পাওয়ার উপর নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব হবে কিনা।
প্রায় ১৮ মাস পর সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে শ্রেণি কার্যক্রম চালু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও খোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সব ক্যাম্পাসে চলছে খোলার প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রস্তুতির অংশ হিসেবে হল-অনুষদগুলোতে ধোয়া-মোছা ও রংয়ের কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবার থেকে ছেলের বয়স ২ বছর বেশি!
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ছয় মাস পর দৈনিক শনাক্ত ৬ শতাংশের কম