নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। গতকাল সকাল ১০টা থেকে পরিচালিত এ অভিযানে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্কস, রং, ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্যসহ ১৪ লিটার টিসিবির সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় পরিচালিত এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা ও এপিবিএন-৯ এতে সহায়তা করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযানে অঙিজেন মোড় এলাকার নিরাময় ফার্মাকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৩০ হাজার জরিমানা করা হয়। পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার সালমা ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয় ২৫ হাজার টাকা। তাদের কাছে বিদেশি যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া যায়। এছাড়াও হক ফুডসকে মেয়াদোত্তীর্ণ চকলেট ও অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্কস বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইভাবে মুরাদপুর এলাকার আসমা আল মদিনা ফার্মেসিকে ওষুধের মেয়াদ দেওয়া অংশ কেটে রাখায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ্ রোডের ইভাইন ড্রিংকিং ওয়াটার পরিদর্শনকালে শ্যাওলাযুক্ত নোংরা জারে পানি বিক্রয়, উৎপাদন মেয়াদ প্রদান না করা, জার পরিস্কারে ডিটারজেন্ট ব্যবহারসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি উৎপাদন করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ইপিজেড থানার বন্দরটিলায় হক ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ দই মেয়াদ তুলে বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা গুণে ফুলকলি। এছাড়াও এদিন পতেঙ্গা থানার সাঈদ স্টোরকে টিসিবির সয়াবিন তেল বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ স্যানিটাইজার সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা গুণে সুমাইয়া ফার্মেসি। এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় লাল মিয়া স্টোরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় একই এলাকার হক ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।
