করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে এক জনেরও মৃত্যু হয়নি। এমন দিন দেখতে দীর্ঘ ১১ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের গত ১৫ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল মৃত্যুশূন্য ছিল চট্টগ্রাম। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টা তথা গত ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর এই ১১ জনই ১ দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৩ দিনে মোট ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এছাড়া করোনাকালের এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন চলতি মাসের ১১ এপ্রিল।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু না ঘটলেও এর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫’শ ছাড়িয়েছে মৃত্যু সংখ্যা। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৪৫ জনের। ১ হাজার ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় এ ২৪৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ২৪৫ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িযেছে ৪৯ হাজার ৩৪০ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৯ হাজার ৫৭৯ জন ও জেলার ৯ হাজার ৭৬১ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৫০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে, যার মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৭৫ জন ও জেলার ১২৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৮৭টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ লাখ ৩০ হাজার ৭০৯ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৯ হাজার ৩৪০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ২৪৫ জনের মধ্যে ১৭৯ জন নগরী ও ৬৬ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে। আর ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫১ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৭.৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৬৩ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৪ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৪৮ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৩ শতাংশ ও ষাটোর্ধ্বরা ১৩.৫৩ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।