শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গরিব কিংবা সাধারণ মানুষের জন্য বিশাল একটি সুযোগ। আপনারা এই সুযোগ গ্রহণ করে গরিব মানুষের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করবেন। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন, পাশাপাশি আপনারাও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর একটি হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সম্মেলন ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় যা কিছু হয়েছে, এই সরকার করেছে। আপনাদের আরও যদি দাবি থেকে এগুলো আমাকে দিন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রতি যে আমার বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে– তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করছি। আমি নিজেও এই চিকিৎসা গ্রহণ করি।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এমএ লতিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ। এতে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ডা. একেএম ফজলুল হক সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী, বিডিডিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ মো. ইফতেখার উদ্দিন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের কন্ট্রোলার অব এঙামিন মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানু. এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এসএএম রেজাউর রহিম, হোমিও হিতৈষী লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী। সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা–উপজেলার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম আরও বলেন, হোমিওপ্যাথিক বইগুলো আপনাদের ভালো করে পড়তে হবে। এ ব্যাপারে ব্যাপক জ্ঞান রাখতে হবে। মাঝে মধ্যে দেখা যায় গ্রাম–গঞ্জে অনেকে অল্পস্বল্প লেখাপড়া করে চিকিৎসা করে, তারা হয়তো অনেক সময় সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে পারেন না। যার কারণে পুরো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ওপর প্রভাব পড়ে। তাই এ বিষয়ে আপনাদের আরও সচেতন হতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
