হালদা রক্ষায় ডলফিন বাঁচাতে হবে

আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা

হাটহাজারী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারীতে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আলোচনা সভার আয়োজন করেন। গড়দুয়ারাস্থ কান্তার আলী চৌধুরীহাট সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা রিচার্স সেন্টার চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার। তিনি বলেন, হালদা দেশের জাতীয় সম্পদ। তাই সরকার এই নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন। এই নদীর মাছ, জীব বৈচিত্র্য, ডলফিন ও নদী দূষণ রক্ষা করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। এজন্য সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। হালদা গবেষকদের এক জায়গায় এসে নদীর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করতে হবে। গবেষকরা যদি ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রদান করেন তাহলে হালদাকে বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর হবে। হালদা রক্ষায় ডলফিনকে বাঁচাতে হবে
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চবি প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া। তিনি তাঁর গবেষণায় হালদা নদী, জীব বৈচিত্র্য ও মিঠা পানির ডলফিন রক্ষার স্বার্থে নদীর সংযোগ খালে নির্মিত স্লুইস গেট ও ভুজপুরে স্থাপিত রাবারড্যাম অপসারণের পক্ষে যুক্তি উত্থাপন করেন। তাঁর স্লুইস গেইট ও রাবারড্যাম অপসারণ বিষয়ে গড়দুয়ারার ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার ও পশ্চিম গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন শাহাবুদ্দিন আরিফ বলেন, স্লুইস ও রাবারড্যাম অপসারণ করলে শুস্ক মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদুল আলম, হাটহাজারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আলম বাশেক। শুভেচ্ছা দেন, হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া। রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিত ভট্টাচার্যের যৌথ সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোহাম্মদ মুছা ও গীতা থেকে পাঠ করেন ছোটন দাশ। বক্তব্য দেন, আইডিএফ-এর কর্মকর্তা মোহাম্মাদ শাহ আলম ও ডিম আহরণকারী কামাল উদ্দীন সওদাগর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেকারত্ব যেন পিছু ছাড়ছে না
পরবর্তী নিবন্ধভূগোলের গোল