মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আলী। আজ থেকে চার বছর আগে দেশের নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায়, অভাবী সংসারের হাল তাকেই ধরতে হয়। তাছাড়া বাড়িতে বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ। ডাক্তার বলছে মরণব্যাধি, নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। নানান তদবির করে পরিচিত এক ভাইয়ের সুবাদে একটি কিন্ডারগার্টেনে পড়ানো শুরু করে। পাশাপাশি সরকারি চাকরির জন্য প্রাণপণ চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। এমন কি কয়েকটি ইন্টারভিউতে ডাকও পেয়েছিল কিন্তু আফসোসের ব্যাপার মামা-চাচার জোর না থাকায় একটা চাকরিও হয়নি। দেশে তখন করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে, পরবর্তী প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকল স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসে। এমন সংবাদে আলীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। যাই হোক, কথায় আছে দেশ বাঁচে ভালোবাসায় আর মানুষ বাঁচে আশায়। আজ তার একটা চাকরির ভাইভা আছে, এটাই যেন শেষ ভরসা। এই ভেবে খুব ভোরেই বেরিয়ে পড়ে। আর দুজন পরেই ভাইভার জন্য ডাকা হবে তাকে, তখনই তাঁর মায়ের ফোন কাতর ভীত কণ্ঠে, বাবা-বাবা রে তুই শীঘ্রই চলে আয়, তোর বাবার স্ট্রোক হয়েছে।