হাজারী গলিতে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ জব্দ

দুটি গুদামে অভিযান, ওষুধগুলো নষ্ট করা হয়েছে ।। ফিজিশিয়ানস স্যাম্পল রাখায় সততা ফার্মেসি, নিয়ামত শাহ ফার্মেসি ও ক্যাল ফার্মাকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে পাইকারি ওষুধের সবচেয়ে বড় বাজার নগরীর হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এসব ওষুধের দাম প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ছবিলা কমপ্লেক্স নামে একটি ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার দুটি গুদাম থেকে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়। এছাড়া ফিজিশিয়ানস স্যাম্পল রাখার দায়ে তিন ফার্মেসিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে অভিযান পরিচালনাকারী টিম। ফার্মেসি তিনটি হচ্ছে সততা ফার্মেসি, নিয়ামত শাহ ফার্মেসি ও ক্যাল ফার্মা। গতকাল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন আকন্দ রাজু এবং কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় অবৈধ ওষুধের গোডাউনগুলোর মালিককে পাওয়া যায়নি। তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। পরে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবনের মালিক গোডাউন দুটি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযানের শুরুর দিকে ৩টি ফার্মেসিতে ফিজিশিয়ানস স্যাম্পল রাখায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ছবিলা কমপ্লেক্সে ঢুকতে গেলে দেখা দেয় বিপত্তি। ফার্মেসি বন্ধ করে মালিকেরা মার্কেটের বাইরে অবস্থান নেন। মার্কেট কমিটি, ফার্মেসি মালিক সমিতি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধ সত্ত্বেও দোকান খুলতে অস্বীকৃতি জানান মালিকেরা। তখন কোতোয়ালী থানা থেকে ১২ সদস্যের একটি দল অভিযানে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে ছবিলা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার একটি এবং চতুর্থ তলার একটি গুদামের তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তালা ভেঙে দুটি গুদাম থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আনরেজিস্ট্রার্ড ওষুধ পাওয়া যায়। পরে সেগুলো নষ্ট করা হয় এবং ফিজিশিয়ানস স্যাম্পলগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, মূলত এগুলো বিদেশি ওষুধ (আনরেজিস্ট্রার্ড)। বাংলাদেশের বাজারে বিক্রির জন্য নিবন্ধন থাকতে হয়। এসব ওষুধের মোড়কে কোনো নিবন্ধন নম্বরও নেই। বেশিরভাগ ভারত ও থাইল্যান্ডের ওষুধ।

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সহসভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য বলেন, দুয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আমাদের হাজারি গলির সবার বদনাম হয়। প্রশাসনের এরূপ অভিযানে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাজ করতে হবে ওষুধ প্রশাসনকে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রজননের জন্য এসে দিচ্ছে প্রাণ