হল্যান্ড থেকে

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সুইজারল্যান্ডের চিঠি : ব্রোকের চেয়ারের কাহিনী (২)
গেল সংখ্যা শুরু করেছিলাম জেনেভা জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল-বরফ উপেক্ষা করে দিন নেই রাত নেই বছরের পর বছর নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা তিন-পায়া ‘ভাঙা চেয়ার’ নিয়ে। কিন্তু এই ভাঙা চেয়ারের এতো গুরুত্ব কেন লিখতে গিয়ে মাঝপথে অন্য বিষয় এসে পড়ায় তা আর লেখা হয়ে উঠেনি। আজ শুরু করবো সে কাহিনী দিয়ে। এই ভাঙা চেয়ারের সাথে জড়িয়ে আছে দুটি মারণাস্ত্র – ‘ল্যান্ড মাইন’ ও ‘ক্লাস্টার বোমা’। ক্লাস্টার বোমার কথা অনেকে না জানলেও ল্যান্ড বা স্থল মাইনের কথা কমবেশি সবাই জানে বলে ধারণা। প্রথমে আসি ‘ল্যান্ড মাইন’ প্রসঙ্গে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে শত্রুকে ঠেকাতে এই মারাত্মক বিস্ফোরক যন্ত্রটি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। উদ্দেশ্য- শত্রুর লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করা। বিপক্ষের যোদ্ধা থেকে শুরু করে যানবাহন এমন কী ট্যাঙ্ক পর্যন্ত এই ছোট্ট বিস্ফোরকটি ধ্বংস বা ক্ষতি করতে পারে। দেখা গেছে যুদ্ধ শেষ, কিন্তু অনেক স্থানে রয়ে গেছে মাটিতে পুঁতে রাখা এই ল্যান্ড মাইন। ল্যান্ড মাইনের ক্ষতিকর দিকটি হলো যুদ্ধের পরও এর ভয়াবহ রেশ থেকে যায়। উদ্বেগজনক যা তা হলো হতাহতের ৪০% ভাগ বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের বেশির ভাগ শিশু। এক হিসাবে জানা যায়, ফি-বছর ল্যান্ড মাইনের শিকার হয়ে বিশ্বে ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। ল্যান্ড মাইন প্রসঙ্গ যখন আসে তখন উঠে আসে একটি নাম, প্রিন্সেস ডায়ানা। বিশ্বব্যাপী ল্যান্ড মাইন নিষিদ্ধ করার প্রচারাভিযানটি বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। মৃত্যুর মাস কয়েক আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি অ্যাঙ্গোলার হুয়াম্বোতে একটি সক্রিয় ল্যান্ড মাইনের মধ্যে দিয়ে বিশেষ পোশাক পড়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধ করার জন্যে আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযানের কারণে ১৯৯৭ সালে ‘কনভেনশন অন দ্য প্রোহিবিশন অফ দ্য প্রিবিশন অব দ্য পার্সোনেল মাইনস’ বা ‘অটোয়া চুক্তি’ হিসাবে পরিচিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আজ অবধি ১৬৪টি রাষ্ট্র এই চুক্তিতে সই করলেও ক্ষমতাশীল রাষ্ট্রগুলির অনেকেই যেমন আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি।
সুজারল্যান্ডের চমৎকার শহর জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে যে বড় চত্বর তার একদিকে দাঁড়িয়ে আছে এই বিশাল ভাস্কর্য। এর ডিজাইন তৈরী করেছেন সুইস শিল্পী ড্যানিয়েল বারসেট এবং নির্মাণ করেছেন ভাস্কর লুই জেনেভ। এই ভাস্কর্য তৈরি করতে ৫,৫ টন কাঠ লেগেছে এবং এর উচ্চতা ১২ মিটার (৩৯ ফুট)। আগেই উল্লেখ করেছি, এই ভাঙা চেয়ার বা ‘ব্রোকেন চেয়ার’ ল্যান্ড মাইন এবং ক্লাস্টার বোমার বিরোধিতার প্রতীক। জেনেভা জাতিসংঘের সদর দফতরে যে সকল রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ আসেন তাদের ল্যান্ড মাইন ও ক্লাস্টার বোমার ভয়াবহ পরিণামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া ছাড়াও তারা যাতে এই মারণাস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হন- সেটি ছিল এর ‘ভাঙা চেয়ার’ প্রতিস্থাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে এই ভাঙা চেয়ারের মূল প্রজেক্টটি ছিল ফরাসি চিকিৎসক ও সাইক্লিস্ট, পল ফেরউলেনের। তিনি ‘হ্যান্ডিকেপ ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি এনজিওর কো-ফাউন্ডার। বর্তমানে এই সংস্থাটির নাম ‘হিউম্যানিটি এন্ড ইনক্লুশন’। কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরে ল্যান্ড মাইনের শিকার হয়ে যে সকল ব্যক্তি পা হারিয়েছিল তাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ১৯৮২ সালে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে এর হেডকোয়ার্টার। বর্তমানে এই সংস্থাটির ছয়টি দেশে শাখা রয়েছে। দেশগুলি হলো সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, ইংল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা ও আমেরিকা। বিশ্বব্যাপী ল্যান্ড মাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্যে এই সংস্থাটি ১৯৯৭ সালে আরো ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সাথে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্যে ২০০৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু করে। ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় নেইমার জুনিয়র এই প্রতিষ্ঠানটির ‘এম্বেসেডর’ নিযুক্ত হন। নানা জন, নানা প্রতিষ্ঠান ল্যান্ড মাইন ও ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্যে ক্যাম্পেইন করলেও খুব সম্ভবতঃ অল্প সময়ে প্রিন্সেস ডায়ানার মত এতো প্রচার আর কেউ অর্জন করতে পারেনি।
প্রথমে যখন এই ‘ব্রোকেন চেয়ার’ ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপন করা হয় তখন এর উচ্চতা ছিল ১০ মিটার। পরে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি যখন এর সংস্কার করা হয় তখন এর উচ্চতা বাড়িয়ে ১২,৫ মিটার করা হয়। বিশাল এই ভাস্কর্যটি কিছুতেই দৃষ্টি এড়ায় না। অনেক দূর থেকে চোখে পড়বেই। এই ব্রোকেন চেয়ারকে ঘিরে বছরের প্রায় গোটা সময়টা ধরে চলে নানা-দেশে সংঘটিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কোন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, স্বৈরাচারী সরকার তার দেশের নাগরিকের অধিকার হরণ করছে, অন্যায়ভাবে জেল-জুলুম করছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম করছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের উপর নির্যাতন, হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে, তখন প্রতিবাদে গর্জে উঠে জেনেভায় জাতিসংঘের সামনে এই ভাঙা চেয়ারের চত্বরটি। জীবন-নিরাপত্তার অভাবে নিজ দেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছে না। কিন্তু প্রতিবাদ হচ্ছে পরদেশে। হচ্ছে মানববন্ধন, মোমবাতি জ্বালিয়ে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে, হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে, স্লোগান দিয়ে জানান দিচ্ছেন প্রতিবাদী জনগণ। তাতে অনেক সময় সামিল হচ্ছেন বিদেশীরাও। রাখছেন বক্তব্য। গেল ২৫-২৬ মার্চ ইউরোপীয় বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান, ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ), সুইজারল্যান্ড হিউমান রাইটস কমিশন বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সেক্যুলার ফোরাম একসাথে এমনি এক প্রতিবাদ ও মানববন্ধের আয়োজন করেছিল। একাত্তরে বাংলাদেশে ঘৃণ্য পাকিস্তান সেনা বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে ও পাশাপাশি এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবী করে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। নিজস্ব ব্যানার নিয়ে এই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দও। তাদের মধ্যে অন্যতম সদ্য নির্বাচিত সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও পুনঃ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান। জেনেভায় সরকারি সফরে সে সময় জেনেভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান। দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন মানববন্ধের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে এবং তার বক্তব্যে তিনি একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যার জন্যে পাকিস্তানের কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেন। এই মানববন্ধনকে সফল করে তোলার জন্যে যে কয়েক নিবেদিত মানবাধিকার কর্মী দিন কয়েক ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তাদের মধ্যে অন্যতম, সুইজারল্যান্ড সেকুলার ফোরামের প্রধান খলিলুর রহমান মামুন ও অরুন বড়ুয়া। গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার জন্যে ফিনল্যান্ড থেকে এসেছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মজিবুর দফতরি ও জার্মানি থেকে সাংবাদিক আবদুল হাই। গোটা অনুষ্ঠান লন্ডন থেকে সরাসরি প্রচার করেছিল লন্ডনস্থ বৃটিশ বাংলা নিউজ।
আমাদের এবার জেনেভা যাওয়ার পেছনে এই মানববন্ধন। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল চারটায়। ফ্লাইট সকাল সোয়া ন’টায়। সোয়া এক ঘন্টার আকাশ-ভ্রমণ। ঘন্টা দেড়েক আগে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকা চাই। আগের দিন রাতে টেক্সি বুক করে রাখা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ভোর সোয়া ছয়টায় টেক্সি দাঁড়ায়ে দুয়ারে। বড় সাইজের টেক্সি। আমাদের কোন এক্সট্রা লাগেজ নেই। কেবল দু-রাতের জন্যে হ্যান্ডব্যাগ যথেষ্ট। সাথে সুমনা। আগেই আমার বরাবরের-হোটেল, হোটেল ক্রিস্টাল বুক করা ছিল। জেনেভার একেবারে সেন্টারে এই হোটেলটি। এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেন ধরে পরবর্তী স্টেশনে নেমে, দু-তিন মিনিট হেঁটেই হোটেল। ট্রেনে এয়ারপোর্ট থেকে মিনিট পাঁচেকের পথ। ছিমছাম, পরিষ্কার হোটেল। টেলিভিশন থেকে শুরু করে বাথরুম, শাওয়ার, ওয়ারড্রোব, কাজ করার ছোট্ট টেবিল, টেবিল ল্যাম্প, চেয়ার, বেড-সাইড ল্যাম্প থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা আছে কামরায়। দামও সহনীয় পর্যায়ে। ভাগ্নী রিমি, স্বামী সসীম থাকে এই শহরেই। ওদের বাসায় থাকার ওপেন-ইনভাইটেশন থাকলেও কাজের কারণে থাকা হয়না। সেই জন্যে রিমির ছোট্ট মেয়ে এলিনা তার দাদুর নাম দিয়েছে, ‘হোটেল দাদু’। থাকা না হলেও ফি-বার তাদের বাসায় সন্ধ্যে-ভোজের আয়োজন চলে। দুজনেরই আন্তরিকতার শেষ নেই। টেবিল-ভর্তি মুখরোচক খাবার। শুঁটকি মাছের নানা পদের তরকারির সাথে আমার প্রিয় গরুর-ভূনা, সুমনার প্রিয় দেশি সবজি, এছাড়া আছে ছোলা, মুড়ি-চানাচুর থেকে শুরু করে নানা মুখরোচক খাবার। আর একটি কারণে এই হোটেল আমায় টানে। সেটি হলো বাংলাদেশী মালিকানায় ভারতীয় তান্দুরী রেস্তোরাঁ, ‘সাজনা’। হোটেল থেকে বেরিয়ে মিনিট তিনেক হাঁটলেই এই রেস্তোরাঁ। স্বত্বাধিকারী বন্ধুসম, খলিলুর রহমান মামুন। কঠিন পরিশ্রমী স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চালান এই রেস্তোরাঁ। ভেতরে আছে জনা কয়েক কর্মচারি। হোটেলে চেক-ইন করে কামরায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরি, লক্ষ্য ‘সাজনা’। কেবল এবার নয়, সব কটি অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত হন সেখানে। যেন মিটিং পয়েন্ট। সেখানেই চলে দুপুর-সন্ধ্যের খাওয়া-দাওয়ার পালা। অনুষ্ঠানকে ঘিরে আলোচনা। এবার সাথে ল্যাপটপ ছিলনা। চেক-ইন করে আমরা সেখানে পৌঁছি। খলিলুর রহমান মামুনের ল্যাপটপে কাজ করছি। কিছুক্ষণ বাদে সেখানে এলেন প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান। তার সাথে আমার কোন আগ-পরিচয় নেই। পরিচয় থাকার কথাও না। আমি সাধারণ মানুষ, রাজনীতি খুব একটা বুঝি না, করি না। মন্ত্রীর সাথে ওনার তরুণ ভাগ্নি ও আর এক তরুণ আত্মীয়, বাংলাদেশ থেকে সাথে আসা। মন্ত্রীর আত্মীয় হবার বুঝি এই মজা। বিনে-পয়সায় দেশ ঘুরে যায়। খলিল সাহেবের সাথে মন্ত্রীর আগ থেকে পরিচয়, দুজনার আলাপে মনে হলে বেশ ভালো পরিচয়, খাতির। জেনেভা এলে মন্ত্রী বরাবর এখানেই খাওয়া-দাওয়া করেন, বললেন খলিলুর রহমান। আমাকে ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। দু-এক কথা বলে ক্ষমা চেয়ে চলে এলাম আমার টেবিলে, কেননা সেদিনের সম্মেলনকে ঘিরে কিছু জরুরি কাজ বাকি। আলাপ জুড়াতে সহধর্মিনী সুমনার জুড়ি নেই। মন্ত্রীর মুখোমুখি পাতানো চেয়ারে বসে সে জুড়িয়ে দেয় ‘খেঁজুরে আলাপ’। মাস কয়েক আগে যেতে হয়েছিল ডাচ পার্লামেন্টে। সাথে সুমনা। পার্লামেন্ট কেন্টিনে বসে কফির সাথে আর এক আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে সেখানকার এক কর্মকর্তার সাথে আলাপ করছিলাম। এমন সময় চোখে পড়ে এক টেবিলে ডাচ প্রধান মন্ত্রী মার্ক রুতে একা কফি খাচ্ছেন। সুমনা এগিয়ে যায়। পাশে দাঁড়িয়ে আলাপ জুড়িয়ে দেয়, প্রতিদিন তার অফিসে সাইকেল চালিয়ে যাবার কাহিনী থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়। মনে হলো ডাচ প্রধান মন্ত্রী খুব পছন্দ করলেন, কেননা তিনি নিজেও মাঝে মধ্যে সাইকেল চালিয়ে তার সরকারি বাসভবন থেকে অফিস ও সংসদে আসেন। যাই হোক, মন্ত্রী বেগম মুন্নুজানের ঘনঘন পান খাওয়া থেকে শুরু করে সুমনা হল্যান্ডে তার শাশুড়ির পান জোগাড় করা, পান কিভাবে জিইয়ে রাখতো তার গল্প বলে চলে। লক্ষ্য করি মন্ত্রীও বেশ আনন্দের সাথে পান খেতে খেতে সে গল্প উপভোগ করে চলেছেন এবং জেনেভায় তিনি কী করে দেশ থেকে সাথে আনা পান জিইয়ে রাখেন তার গল্প বলে চলেন।
লেখক : সাহিত্যিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে স্বদেশ : অর্জন ও আগামীর প্রত্যাশা
পরবর্তী নিবন্ধজনদুর্ভোগ লাঘবে নিবিড় মনোযোগ আবশ্যক