হতশ্রী হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ২৯ মার্চ, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেশে ফেরার আগে তামিম ইকবাল বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করবে বাংলাদেশ দল। যদিও তামিমের নেতৃত্বে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। তারপরও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দলকে শুভ কামনা জানিয়ে এসেছিলেন তামিম। কিন্তু তার সে শুভ কামনা কোন কাজে আসল না। যথারীতি হতশ্রী হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হারের তালিকাটা আরো দীর্ঘ হলো এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে প্রথমত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হার ৬৬ রানে। ২১১ রানের বিশাল পাহাড় ডিঙাতে গিয়ে ১৪৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
ডেভন কনওয়ে এবং উইল ইয়ং এর দুর্দান্ত ব্যাটিং এর পর ইশ শোধির ঘূর্ণিতে কাবু টাইগাররা। যদিও প্রথমে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে শুরুর দিকে খুব বেশি সুবিধা করতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। প্রথম ওভারেই ফিন এলিনকে তুলে নেন অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিলকেও ভয়ংকর হয়ে উঠতে দেননি নাসুম। কিন্তু কনওয়ে এবং ইয়ং মিলে চড়াও হয় বাংলাদেশের বোলারদের উপর। এ দুজন গড়েন ১০৫ রানের জুটি। আর তাতেই কিউইরা পৌঁছে যায় রানের পাহাড়ে। ৩০ বলে ৫৩ রান করা ইয়ংকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন আফিফ। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বোলারদের কচু কাটা করা কনওয়েকে ফেরাতে পারেনি কোন বোলার। ৫২ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। যেখানে ১১টি চারের পাশপাশি তিনটি ছক্কার মার ছিল। শেষ দিকে গ্লেন ফিলিপসও ১০ বলে ২৪ রান করে ঝড় তোলেন। আর তাতে ২১০ রান জমা করে স্বাগতিকরা। ৩০ বলে ২ উইকেট নিয়েছেন টাইগার বোলার নাসুম আহমেদ।
২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ৩য় ওভারে টিম সাউদির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৫ রান করে ফিরেন লিটন দাশ। এরপর শুরু থেকেই কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া মোহাম্মদ নাইম রানের চাকা সচল রাখলেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। ফারগুসনের গতিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেন মোহাম্মদ নাইম। ১৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২৭ রান করেন নাইম।
এরপর ইস সোধির ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। এই স্পিনার নিজের প্রথম ওভারে তুলে নেন সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট। সৌম্যকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে এবং মিঠুনকে বোল্ড করে ফেরান শোধি। দুজনের কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। এক ওভার বিরতির পর আবারও বল হাতে আসেন সোধি। এই ওভারেও তুলে নেন দুটি উইকেট। এবার তার শিকার মাহমুদউল্লাহ এবং মেহেদী হাসান। দুজনেই হয়েছেন বোল্ড।
মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে ১১ রান করলেও মেহেদি হাসান ফিরেন রানের খাতা খোলার আগেই। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন শোধি। কিন্তু সেটা হয়নি। ৫৯ রানে তখন ৬ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খাদের কিনারায় বাংলাদেশ। বলতে গেলে ম্যাচ তখনই শেষ। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। ৬৩ রান যোগ করে অন্তত ব্যাটিং লজ্জা থেকে দলকে রক্ষা করেন এ দুজন। যা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন আফিফ। ৩৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান আসে এই বাঁ হাতির ব্যাট থেকে। সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকলে বাংলাদেশের সংগ্রহ থামে ১৪৪ রানে। কিউইদের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ইশ শোধি। ২টি উইকেট নিয়েছেন ফার্গুসন। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ডেভন কনওয়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী আটক
পরবর্তী নিবন্ধচসিকের ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ যাচ্ছে বেসরকারি খাতে