স্বাস্থ্যবিধি পালনে রোববার থেকে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আগামী রোববার থেকে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ উপেক্ষার ক্ষেত্রে করা হবে জরিমানা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিধিনিষেধের পর থেকে বিআরটিএ ও সিএমপি নগরীতে কাজ করছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। রোববার থেকে আমাদের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে ৪ টি টিম নগরীর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করবে। এর মধ্যে সকালে দুটি, বিকালে দুটি। পরে অবস্থা বুঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার উপজেলাগুলোতে ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে দিয়েছে ইউএনও এবং ভূমি কমিশনাররা। এ ব্যবস্থা চলতে থাকবে। সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কোনো ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিধিনিষিধ দেয়া হয়েছে সবার কল্যাণের জন্য। সকলকে এসব বিষয় বুঝতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। অন্যথায় জরিমানার আওতায় আনা হবে।
গত ১০ জানুয়ারি সরকার কতৃক জারিকৃত বিধিনিষেধগুলো হলো : দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। রেস্তোরায় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোনও সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা গ্রহণ করবে। উন্মুক্ত স্থানে সর্ব সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। কোনও এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম দিনে ‘উপেক্ষিত’ বিধিনিষেধ
পরবর্তী নিবন্ধওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন : প্রধানমন্ত্রী