স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত স্ত্রীর আত্মহত্যা

পটিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

দেড় বছর পূর্বে পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন জান্নাতুল মাওয়া (১৯)। কিন্তু সুখের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জের ধরে স্বামী আবদুল হক চৌধুরীকে ডিভোর্স দিয়ে নিজেও পৃথিবীর মায়া ছেড়ে বিদায় নিলেন। ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার পটিয়া পৌরসদরের পল্লী বিদ্যুত অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত জান্নাতুল মাওয়া পৌরসদরের ৬ নং ওয়ার্ডের আবদুল হক চৌধুরীর স্ত্রী ও পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পেরলা এলাকার ওসমান আলীর মেয়ে। নিহতের মা রোমা আকতার জানান, গত এক বছর আগে জান্নাতুল মাওয়ার সাথে পটিয়া পৌর সদরের দক্ষিণঘাটা গ্রামের আহমদুল হক চৌধুরীর পুত্র আবদুল হক চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয়েছিল। গত চার মাস পূর্বে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রী মাওয়া স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে পিতার ভাড়া বাসায় চলে আসেন। এরপর থেকে মাওয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। হয়তো এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
পটিয়া থানার এসআই আবদুল জলিল জানিয়েছেন, পৌরসদরের ২ নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা আবাসিক এলাকার মনিরের বিল্ডিংয়ের নীচ তলার একটি শয়নকক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কক্ষের সিলিং ফ্যানের আংটার মধ্যে গলায় বোরকার ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল লাশটি। আগের দিন রাতে নিহত মাওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসাথে খাওয়া-দাওয়া শেষে মায়ের সাথে ঘুমাতে যায়। সকালে তার মা ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে বিছানায় না দেখে তার খোঁজ নিতে থাকে। এ সময় পাশের কক্ষের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশটি উদ্ধার করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপার্কভিউ হাসপাতালে ম্যামোগ্রাফি উদ্বোধন ও সেমিনার
পরবর্তী নিবন্ধশহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সাবেক মেয়র মনজুর আলমের শ্রদ্ধা