স্বপ্ন পূরণ হল না মাসুমের

আনোয়ারা প্রতিনিধি | সোমবার , ৪ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাসুমের স্বপ্ন ছিল পুলিশ হয়ে অপরাধ দমনে নিজেকে উৎসর্গ করবেন। পরিবারের হাল ধরবেন, ছোট বোন জান্নাতুন নিছাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। বাবা-মায়ের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের চেষ্টার পাশাপাশি বড় ভাই আবদুল্লাহ আল মামুনকে সব ধরনের সহযোগিতার করবেন। সারা জীবন মা বাবাকে নিয়ে যৌথ পরিবাবে বসবাস করবেন। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় আনোয়ারা থানার সামনে অবস্থিত বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ থেকে কাজ শেষ করে আনোয়ারা থানার পাশে (ভাড়া) বাসায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আর ফেরেননি। মাসুম তার সহপাঠী দীপ্ত দত্তের ফোন পেয়ে মা লুৎফুন্নেছাকে ‘একটু পরে আসতেছি’ বলে বাসা থেকে বের হন। কিন্তু আর জীবিত ফিরেননি, ফিরলেন লাশ হয়ে। বাসার অদূরেই তার মৃতদেহ উদ্ধার করে আনোয়ারা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মাসুমের মা লুৎফুন্নেছা, ছোট বোন জান্নাতুন নিছা, ফুফি ছেমন আরা ও স্বজনদের আত্মচিৎকারে আনোয়ারা থানার আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
মাসুমের পিতা মোহাম্মদ ইউছুপ জানান, আমার ছেলে মাসুমের স্বপ্ন ছিল পুলিশ হয়ে দেশের মানুষের সেবা করার। সে লক্ষ্য পূরণে পুলিশে আবেদন করে সে। পুলিশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতো। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখতো। তাই পুলিশে চাকরি না হলে এক জন ভাল সার্ভেয়ার হওয়ার জন্য ৬ মাসের সার্ভেয়ার প্রশিক্ষণ কাজও শেষ করে। পড়ালেখার পাশাপাশি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে কাজ করতো। গত শনিবারও সে দোকানে কাজ শেষ করে সাড়ে ১০ টায় বাসায় এসে নীচ থেকে খাবার পানি ও আমার জন্য ওষুধ কিনে আনে। এ সময় তার সহপাঠী সাগরের ছেলে দীপ্ত দত্ত মাসুমকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তাঁর দাবি ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মাসুমের বড় ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মাসুম শনিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকানে তার সাথে কাজ করে বাসায় যায়। তিনি যান রাত ১ টার পর। তিনি বলেন, এর পরে খবর নিয়ে জানতে পারি আমার ভাই মাসুম আর নেই। তিনিও তার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধপছন্দের পাত্রীর সাথে বিয়ে না দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যা