স্পিন দিয়েই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চান শ্রীরাম

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২২ at ১২:২৯ অপরাহ্ণ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেই একের পর এক অঘটন ঘটে যাচ্ছে। নামিবিয়ার কাছে শ্রীলংকার হার। স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়। আবার আরব আমিরাতের কাছে নামিবিয়ার হার। এসব দেখে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে অনুশীলনের কথা থাকলেও প্রকৃতির বাগড়ায় ভেস্তে গেছে সেই পরিকল্পনা। তবে বাংলাদেশ কোচ নিশ্চয়ই প্রথম ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন। তবে বাংরাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্টকে নিশ্চয়ই আশাবাদি করে তোলেছে আয়ারল্যান্ডের স্পিনার ডেলানির বোলিং। যে মাঠে ডেলানি বল হাতে কাবু করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালেই সোমবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

আগের দিন সংবাদমাধ্যমকে শ্রীরাম বলেছিলেন হোবার্টের উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা মিলবে কিছুটা হলেও। তাই স্পিন নিয়েই ভাবতে শুরু করেছেন শ্রীরাম। যেহেতু প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, আর স্পিনে তাদের দক্ষতা কিছুটা কম তাই সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে স্পিন আক্রমণে ম্যাচ জেতানোর অপেক্ষায় থাকবে বাংলাদেশ। এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের স্মরণীয় জয়ে বাঁহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াট ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আরেক স্পিনার মাইকেল লিস্ক ২ উইকেট নেন ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে।

সময় গড়ানোর সঙ্গে ক্রমে স্পিন বেশি কার্যকর হওয়ার প্রমাণ মিলেছে এখানে পরের ম্যাচগুলিতে। সব মিলিয়ে শ্রীরামের ধারণা সত্যি হওয়ার প্রমাণ মিলছে যথেষ্টই। তবে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট কিন্তু শুধু হোবার্ট নিয়েই ভাবছেন না। অস্ট্রেলিয়ার ভেন্যুগুলো সম্পর্কে ধারণা তার যথেষ্টই আছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বৈতরণী স্পিনের ভেলায় পার হওয়ার আশা করছেন তিনি অন্যান্য ভেন্যুতেও। তিনি বলেন হোবার্টে মনে হয়, কিছুটা স্পিন ধরবে। কারণ ওখানে এর মধ্যেই বেশ কিছু ম্যাচ হয়ে গেছে। ওখানে গিয়ে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে মনে হচ্ছে স্পিনে কিছু সহায়তা সেখানে আছে। সিডনি তো ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের কিছুটা সহায়তা করে। আমরা যা শুনতে পাচ্ছি, এক প্রান্তের সীমানা সেখানে বড় থাকবে। আরেক প্রান্তে তুলনামূলক ছোট। সেখানে গিয়ে বোঝা যাবে আরও ভালো।

ব্রিজবেন ঐতিহ্যগতভাবে ব্যাটিংয়ে জন্য ভালো। কিছুটা বাড়তি গতি ও বাউন্স অবশ্য এখানে থাকে। তবে স্কয়ার বাউন্ডারি এখানে বড়। কাজেই স্পিনারদের জন্য তা ভালো। যদি ব্যাক অব লেংথে তারা বল করতে পারে। স্পিনারদের ভূমিকা থাকবে এখানেও। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এক ভেন্যুতে দুটি ম্যাচ খেলবে কেবল অ্যাডিলেইডে। সেই দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ উপমহাদেশের দুই দল ভারত ও পাকিস্তান। স্পিনে কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কেবল তাদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েই কিছুটা সংশয়ে শ্রীরাম। শেষ পর্যন্ত উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা কতটা থাকবে, তা বোঝা যাবে সময়েই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং উইকেটে, এমনকি পেস সহায়ক উইকেটেও স্পিনারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে অনেক সময়ই। উইকেট ও প্রতিপক্ষ অনুযায়ী স্পিনারদের যদি ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তারা নিজেরা যদি পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ভূমিকাটুকু ঠিকঠাক পালন করতে পারে তাহলে এই সংস্করণে তারা ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন যে কোনো উইকেটেই। এখন তাই বাংলাদেশ সেই স্পিন নিয়েই স্বপ্ন পূরণের জাল বুনছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজকের শিশুদের হাত ধরেই আগামীর উন্নয়ন
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষক শ্রীদাম চন্দ্র বর্তমান সময়ের অনুকরণীয় আদর্শ