বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাকে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়ার পরও তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে না। গতকাল কক্সবাজারে বিএনপির সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাতের আঁধারে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকারের কোনো আস্থা নেই। তাই বিএনপির সাংবিধানিক অধিকারও তারা হরণ করছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এর আগেও এই রাষ্ট্রপতির সাথে আরো দুইবার সংলাপ হয়েছিল। ওই সংলাপের পর গঠিত নির্বাচন কমিশন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারেনি। এই দুটি কমিশনই দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত কমিশন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ‘চলো চলো কক্সবাজার চলো’ স্লোগানে গতকাল দুপুর ১টায় কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণী সড়কে এই সমাবেশ ডেকেছিল জেলা বিএনপি। পরে একই জায়গায় পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় জেলা যুবলীগ। এ নিয়ে প্রশাসন সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত শহরের বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ সরণী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এরই প্রেক্ষিতে বিএনপি গতকাল সকালে ঈদগাঁও মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জনসভা করতে না পেরে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে পথসভায় আসার পথে বাধাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা উপজেলায় বিক্ষোভ করেন।
১৪৪ ধারা অমান্য করে শহীদ সরণীতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করা বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির সমাবেশের জন্য কোনো স্থানের অনুমতি নেই। কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করার চেষ্টা করেছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
