তখন আমাদের সবুজ মায়ার দিন,
রোদ নেমে এলে আমরা
বাগানের ঘর তুলে
মায়া সাজাতাম নরম সবুজে,
ডালের লহর বেয়ে পিঁপড়ের অনন্ত যাত্রার গন্তব্যে
খুঁজে বেড়াতাম সময়ের আদল।
তখন দীঘল চোখের তারায় ফুটে উঠত
উজ্জ্বল ফুলের হাসি ভরা রাশি
রাশি দিন।
নিসর্গের হলুদ দেয়ালে ভেজা রোদ;
আঁকা হচ্ছে পাতা বাহার, মাধবীলতা,
হাস্না হেনার সৌরভ!
পাতার ফাঁকে জ্বলে উঠত
দোয়েলের গায়ে,
সূর্য মাখা স্নান।
ঝির ঝির দোলায় হেলে যাচ্ছে নীল অপরাজিতা।
ছাদের কিনারায় রোদ লেগে
বিকেল নেমে আসত যখন,
আমরা চুপি চুপি খিড়কির
ছিটকিনি ফেলে
ছুটতাম ফড়িং এর রঙ্ধনু পাখায়,
পায়ের নীচে দেবে যাচ্ছে
ঘাস পাতা রঙ,
কাঁটার বন ছুটছি।
আকাশের রঙ ফিকে হয়
হয় সময়ের,
কাঁচ বয়ামে ভরা হলুদ আলোর দিনে
জোনাক জ্বলার মত সন্ধ্যা আসল,
তখন কৃত্রিম আলো ফেরি করি
অনুভূতির যত রঙ
জীবিকার গানে,জীবনের গানে
মায়া ভুলে যায়।
সোডিয়াম আলোয় নিসঙ্গ রাস্তা আলোকিত হয়।
সরল সাদা মানব হৃদয় ততদিনে
জীবনের ফাঁদে আটক।
নিজেদের গল্পে অন্তরীণ জগত
স্বার্থের গন্ধ খুঁজে খুঁজে
বেঁচে থাকার আনন্দ বদলে ফেলেছে।