সীতাকুণ্ডে আগুনে নিঃস্ব সাত জেলে পরিবার

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে লায়ন ইমরান

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের জেলে পাড়ায় মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই আগুনে সাতটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে বসতঘরে থাকা নগদ টাকা, সাগরে বসানোর জাল এবং মূল্যবান মালপত্র। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মির্জানগর জেলে পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন পুলিন জলদাস, নন্দলাল জলদাস, স্বজন জলদাস, জীবন জলদাস, অসীম জলদাস, খোকন জলদাস ও ঝর্ণা জলদাস। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিমনী শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ।

ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পুলিন জলদাস জানান, মধ্যরাতে আগুনের পোড়া গন্ধ পেয়ে তার ঘুম ভেঙে যায়। এই সময় তিনি বাইরে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী ঝর্ণা জলদাসের ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তার আর্ত চিৎকারে বাড়ির সবাই বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুন তার বসতঘরসহ আশপাশের সবকটি বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রায় আড়াইঘণ্টার এ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের সাত পরিবারের বসতঘর ও মূল্যবান গৃহ সামগ্রী। এতে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে স্বজন জলদাস জানান, আগামী মঙ্গলবার তার মেয়ের বিয়ে। তিনি স্থানীয় এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বিয়ের জন্য যাবতীয় মালামাল কিনে রেখেছিলেন।

কিন্তু মুহূর্তের আগুনে তার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে নিঃস্ব হয়েছে তার মতো আরো ৬টি জেলে পরিবার। পরনের জামা ছাড়া তাদের কাছে আর অবশিষ্ট কিছু নেই।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। পরে ঘটনাস্থলে তাদের একটি ইউনিট গেলেও তার আগেই সাত জেলে পরিবারের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। মশার কয়েল থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সিমনী শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এসময় তিনি বলেন, মির্জা নগর জেলে পাড়া এলাকার সাত পরিবারের বসতঘর ও মাছ ধরার জাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের সহায়তায় দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিৎ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধপাঠকের আবদার রক্ষায় ব্যস্ত লেখক