কক্সবাজারের একটি হোটেলে এক তরুণীর (২৬) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাগর মিজি (২৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। সাগরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানায়, সাগর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারীকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেছেন। তিনি প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করতেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ব্যার-১০ এর অধিনায়ক ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাগর ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার কলাতলী এলাকার ‘আমারী রিসোর্টে’ ১০৮ নম্বর রুম ভাড়া নেন। তখন হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, ২০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী ঢাকা থেকে যাবেন, তখন তাকে অন্য একটি ডাবল রুম দিতে হবে। সে অনুযায়ী গত ২০ সেপ্টেম্বর সাগর তার স্ত্রীর পরিচয়ে এক তরুণীকে নিয়ে ৪০৮ নম্বর রুমে ওঠেন। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই কক্ষে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তখন ওই নারীর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাগর মিজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইলসহ মোট তিনটি মোবাইল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সাগরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে নিহত তরুণীকে স্ত্রী পরিচয়ে কঙবাজারে নিয়ে যান সাগর। রিসোর্টের ওই কক্ষে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করার একপর্যায়ে সাগরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় সাগর ভুক্তভোগীর গলা চেপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিলে তরুণী মেঝেতে পরে যান। পরে ভুক্তভোগীকে আবার গলা টিপে ধরে গ্লাস দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান সাগর।
গ্রেপ্তার সাগর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারীকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করতেন।
