প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, কোর্ট হিল নিয়ে টানাহেঁচড়ার কিছু নেই। জেদাজেদি বা জেতাজেতিরও কিছু নেই। এটি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কাজ করছে। সরকার পুরো বিষয়টি দেখছে। আমাকে এ বিষয়ে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব দিলে তখন আমি আসব। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। সকলের মঙ্গলের জন্য যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে।
জেলা প্রশাসন ও আইনজীবীদের বিপরীত অবস্থানের মাঝে চট্টগ্রাম সফরের শেষ দিনে গতকাল শনিবার সকালে কোর্ট হিল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বের হয়ে নতুন আদালত ভবনের পেছন দিক হয়ে প্রথমে কোর্ট হিল মসজিদ ও আইনজীবী ভবনের সামনে যান। সেখান থেকে আইনজীবী শাপলা ভবন, ট্রেজারি ভবন হয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ফিরে যান। সেখানে চট্টগ্রামে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
কোর্ট হিলের অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুখ্য সচিব বলেন, আইনজীবীরা মঙ্গল গ্রহ থেকে আসেননি। সবাই চট্টগ্রামের। আমিও চট্টগ্রামের ছেলে। চট্টগ্রামের মানুষের মঙ্গল হয়, যেটার দ্বারা উপকার হয় সেটিই করবে সরকার। আইনজীবীদের প্রস্তাবিত দুটি নতুন ভবন বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই বলব না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একসময় কোর্ট বিল্ডিংয়ের এক পাশ দিয়ে উঠে আরেক পাশ দিয়ে বের হতাম। এখন কি সেটা সম্ভব?
এদিকে কোর্ট হিল পরিদর্শনের আগে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ মুখ্য সচিব চান্দগাঁও এলাকার কালুরঘাট মৌজায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়সহ সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি পরিদর্শন করেন। শীঘ্রই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, বিভাগীয় কমিশন কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় চান্দগাঁও এলাকাধীন কর্ণফুলীর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কোর্ট হিলকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হবে। এখানে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন আগে ভূমি মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোর্ট হিলে আইনজীবীদের নতুন দুটি ভবন করা নিয়ে কিছুদিন ধরে মুখোমুখি অবস্থানে আইনজীবী সমিতি ও জেলা প্রশাসন।