‘সিআরবিতে হাসপাতাল বানানোর সিদ্ধান্ত বাতিলে চাই সুস্পষ্ট ঘোষণা’

[দৈনিক আজাদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে যাঁরা আমাদের ই-মেইলে ‘নাগরিক মতামত’ পাঠিয়েছেন, তাঁদের সে-সব মতামত আমরা পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। আজ প্রকাশিত হলো চতুর্থ কিস্তি।]

| রবিবার , ১৮ জুলাই, ২০২১ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

নিঃশ্বাস-ই যদি নিতে না পারি তবে কিসের ভালোবাসা?
সালাহউদ্দীন শাহরিয়ার

সিআরবি আমার দেখা গাছপালায় ঘেরা প্রকৃতির অঙিজেন তৈরির কারখানা, শুধু শিরিষতলাই নয়, সাত রাস্তার মাথা, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সদর দপ্তর হয়ে টাইগারপাস-এর সেই দৃশ্য দেখাতে নিয়ে যাই আমরা চট্টগ্রামের বাইরে থেকে বেড়াতে আসা অতিথিদের। গর্ব করেই বলি, এটি আমার শান্তির সুবাতাস বয়ে যাওয়া প্রিয় জায়গা, এখানেই আমার ভালোবাসা। হাসপাতালের নামে আমার নিঃশ্বাস, আমার ভালোবাসাকে রুদ্ধ করে দিতে থাবা বসিয়েছে লুটেরারা। ভালোবাসি চট্টগ্রামকে, চট্টগ্রাম আমার ভালোবাসা। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হোক সেটা আমরা চাই। তবে সেটা আমাদের শ্বাসরোধ করে নয়, অবশ্যই প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত অঙিজেনকে সচল রেখে। তাই আমার অঙিজেন তৈরির কারখানা সিআরবিতে চাইনা কোন স্থাপনা। সেটা হোক হাসপাতাল কিংবা পাঁচ তারকা হোটেল। নিঃশ্বাস-ই যদি নিতে না পারি তবে কিসের ভালোবাসা?

শিরিষতলাকে বাঁচাতে হবে
রনজিৎ চন্দ্র নাথ

সিআরবি শিরিষতলা চট্টগ্রামবাসীর প্রিয় একটি জায়গা। ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত রেলওয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন সবুজ পাহাড় ও শতবর্ষী বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমাহারে অপূর্ব পরিবেশে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা সকল শ্রেণির মানুষ বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়। কেউ ঘুমায়, কেউ খেলে, কেউ হাতে হাত রেখে বা কাঁধে কাঁধ রেখে বসে গল্প করে। বয়োবৃদ্ধরা সকালে বা বিকেলে নির্মল পরিবেশে হাঁটতে গিয়ে বিশুদ্ধ বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। শিরিষতলার মুক্ত মঞ্চে মুক্ত পরিবেশে বাংলার নববর্ষ, চৈত্র সংক্রান্তি ও বসন্ত উৎসব প্রভৃতি বাঙালির সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাঙালির মিলন হয়। কিন্তু হঠাৎ সবুজের সমারোহকে ধ্বংস করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কোম্পানির সাথে চুক্তি করে হাসপাতাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই হীন চক্রান্ত চট্টগ্রামের মানুষ কোন দিন কোনভাবেই মেনে নেবে না। সিআরবিতে একটি বক্ষব্যাধি হাসপাতাল আছে। এটাকে আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্যসেবার উপযুক্ত করা হোক। অথবা চট্টগ্রামে বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিরাস্থ পরিত্যক্ত যক্ষ্মা হাসপাতাল এবং সংলগ্ন ১০ একর জায়গাকে বরাদ্দ দেয়া হোক। পরিশেষে, সিআরবির নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যকে রক্ষা করার জন্য সকল শ্রেণির পেশার মানুষের কাছে অনুরোধ চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবির শিরিষতলাকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অংশ নিন।

হাসপাতাল নির্মাণের নামে সিআরবি ধ্বংস করা যাবে না
মেজবাহ উদ্দীন খালেদ

হাসপাতাল নির্মাণের নামে চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র বিনোদন স্পট সিআরবির শিরিষতলাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা চট্টগ্রামবিদ্বেষী একটি দুষ্টচক্র। অথচ তারাও জানে চট্টগ্রামের এই বিনোদন স্পটটি সাধারণ মানুষের কাছে কতটা প্রয়োজনীয়। সিআরবিতে সেখানে হাসপাতাল নির্মিত হলে সেই হাসপাতালকে ঘিরে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল এবং বর্জ্য নিঃসরণসহ নানা কারণে হুমকির মুখে পড়বে সিআরবির সৌন্দর্য এবং নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য। সিআরবি থাকলে চট্টগ্রামের মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারবে। আমরা আগে সিআরবি চাই। হাসপাতালের ভাবনা পরে। মানুষ নিঃশ্বাস নিতে না পারলে হাসপাতাল দিয়ে কি হবে। আসুন আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিবাদ জানাই।

হাসপাতাল অন্য কোথাও হতে পারে
জেবুন নাহার শারমিন

সিআরবিতে চট্টগ্রামের মানুষ বেসরকারি হাসপাতাল চায় না। এ আন্দোলনে শুধু চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ নয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও শামিল হয়েছেন। আমাদের সবার একই বুলি, সিআরবি রক্ষা করতে হবে চট্টগ্রামের স্বার্থে। যতদিন হাসপাতাল নির্মাণের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হবে ততদিন আমরা চট্টগ্রামবাসী এ আন্দোলন পরিচালনা করবো। সিআরবি রক্ষায় আমরা সকলে একমত যে, এখানে অন্তত কোনো হাসপাতাল বা অন্য যে কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানই নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। আমরা সকল সচেতন নগরবাসীর একই চাওয়া। আমরা সবাই জানি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সিআরবি ঐতিহাসিক কারণেও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। চট্টগ্রামের ফুসফুস নামে পরিচিত এই এলাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্থান। এখানে ১৯৩০ সালের ইতিহাস-প্রসিদ্ধ চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহীরা অর্থ সংগ্রহের জন্য অভিযান চালিয়েছিলেন, তার ওপর সিআরবি ভবনটি দেশের ব্রিটিশ বা কলোনিয়াল স্থাপত্যের বিলীয়মান নিদর্শনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। এসব বিবেচনা থেকেই এলাকাটিকে বাংলাদেশ সরকার সংবিধানের ২য় ভাগের ২৪ ধারা অনুযায়ী ঐতিহ্য ভবন ও সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। তাই মানুষের চেতনা, নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষা করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। চট্টগ্রামে হাসপাতালের অভাব কোথায়? হ্যাঁ, তাও প্রয়োজন হলে অন্য কোথাও স্থাপন করা হোক অন্তত এখানে নয়।

হাসপাতাল নির্মাণের কাজ বন্ধ হোক
শায়েলা আহমেদ

চট্টগ্রামের শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার পুণ্যভূমি তথা সি আর বি- তে হাসপাতাল তৈরি বন্ধের দাবিতে আমার এ প্রতিবাদ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বেশ কিছুদিন যাবত ভালোবাসার সিআরবি নিয়ে শত শত পোস্ট চোখে পড়ছে। আমি বলতে চাই চট্টগ্রামে আধুনিক হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা আছে বটে কিন্তু এভাবে প্রকৃতির সবুজ বনানী ধ্বংস করে তা করতে হবে কেনো? শতবর্ষীয় গাছ কেটে নিসর্গ প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে হাসপাতাল নির্মাণ কোন সঠিক এবং সুস্থ যুক্তির মধ্যে পড়ে না। এ সিদ্ধান্ত সঠিক সিদ্ধান্তও হতে পারে না। আজকাল মানুষের মাঝে বৃক্ষ নিধনের প্রতিযোগিতা যেনো ক্রমেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। নির্দ্বিধায় গাছ কেটে ফেলে মানুষ সেখানে যত্রতত্র হাসপাতাল, ইমারত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। অথচ লোভী মানুষেরা একবারও ভাবে না এই এক একটা গাছ বৃক্ষে পরিণত হতে কয়েক দশক বা শত বছর লেগে যায়। এই সকল বৃক্ষরাজী একেকটা প্রাকৃতিক অঙিজেনের উৎস। এবং কার্বণ শোষণের প্রাকৃতিক কারখানা। খোলা হাওয়ায় বিধাতার দেয়া অঙিজেন নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই। এই বৃক্ষ অঙিজেনের কারখানা। এখানে মানুষ দুদণ্ড প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বেড়াতে আসে। বর্ষবরণ উৎসব ও নানা আয়োজনে মেতে উঠে এই সিআরবি। এখানে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এখানে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ বন্ধ হোক। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হলে প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন পাখ-পাখালিসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রাণ। এতে করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব আমার, আপনার ও দেশের আমজনতাসহ সকলেরই।
আমি তাই এ নিন্দনীয় কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

চট্টগ্রাম সিআরবি অক্সিজেন উৎপাদনের প্রাকৃতিক কারখানা
আকাশ মাহমুদ

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকাকে যান্ত্রিক বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ফুসফুস বলা হয়। এই চত্বরে সবুজে ঘেরা সারি সারি সুবিশাল বৃক্ষ। কোনো গাছের বয়স একশ বছর। কোনোটির বয়স দুশোরও বেশি। বয়সের ভারে এই বৃক্ষগুলো ন্যুব্জ হয়নি, বরং শত বছরেও গাছগুলো ধরে রেখেছে তাদের সবুজের সজীবতা। দুইশ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বৃক্ষরাজি বেষ্টিত সিআরবি এলাকার সবুজ সরিয়ে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূষণ ও যান্ত্রিকতার চট্টগ্রাম নগরীতে লাখ লাখ মানুষ যেখানে প্রতিদিন প্রাণভরে শ্বাস নেয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ একটু প্রশান্তির জন্য, প্রাকৃতিক অক্সিজেন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ দীর্ঘসময় ব্যয় করে। সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্টকারী মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। চট্টগ্রামে হাসপাতাল অবশ্যই প্রয়োজন- তবে শতবর্ষী গাছ নিধন করে নয়।

দয়া করে আমাদের প্রতিপক্ষ করবেন না
আশীষ নন্দী

দৈনিক আজাদীতে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সিআরবি এলাকা পরিদর্শনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ পেয়েছে, পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, “কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিআরবি শিরিষতলায় হাসপাতাল নির্মাণ করছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ হাসপাতাল নির্মাণ হবে শিরিষতলা হতে পূর্বে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায়। যেখানে অবৈধ বস্তিবাসীর বসবাস রয়েছে। বতর্মানে কোয়ার্টার ভেঙে ফেলা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ জানান, তারা প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে স্থান সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। পরে একটি সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে জনগণকে অবহিত করা হবে”। আমরা যারা সিআরবি রক্ষার জন্য আবেদন করছি তারা কি হাসপাতাল চাই না? আমরা অবশ্যই হাসপাতাল চাই। তা আমরা চাইছি অন্যত্র রেলওয়ের অব্যবহৃত সম্পত্তিতে। রেলওয়ে চট্টগ্রামে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তাদের জমি দিয়েছে। যেমন- ইউএসটিসি, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল, ডায়বেটিক হাসপাতাল ইত্যাদি। মাননীয় নেতৃবৃন্দ আপনাদের কাছে আবেদন করছি আমাদের মতো সাধারণ জনগণকে অযথা প্রতিপক্ষ ভাববেন না। এখানে অনেকের অনেক মতাদর্শ থাকলেও সকলে চট্টগ্রামে টিলা পাহাড়ে একটি নির্মল সবুজ অরণ্য চাইছি মাত্র। এখানে আপনাদের যদি কোনোরূপ রাজনৈতিক স্বার্থ না থাকে তাহলে আমাদের সাথে আপনার ও সামিল হোন। রেলওয়ের স্টাফ কোয়ার্টার ভেঙে ফেলেছে তাদের প্রয়োজন নেই বলে। সেখানে যে উন্মুক্ত স্থান হয়েছে তাতে নতুন করে বন সৃজন সম্ভব। আপনাদের মধ্যে কেউ কি নেই এই অপতৎপরতা রুখে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারেন না? আমরা কোথায় যাবো চট্টগ্রামের মাননীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ?

সিআরবি আমজনতার সিআরবিই থাকুক
তাওহীদুল ইসলাম নূরী

সিআরবির ছয় একর জায়গা নিয়ে যে হাসপাতালটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটি একটি বেসরকারি হাসপাতাল। তাই নির্দ্বিদ্বায় বলা যায় হাসপাতালটি সাধারণ জনগণের কোন কল্যাণে আসবে না। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু, সেটা নগরীর ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে নয়। কারণ, এখানে হাসপাতাল নির্মাণ হলে একদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন বিনষ্ট হবে, তেমনি অন্যদিকে পরিবেশেরও ক্ষতি হবে। সে জন্য চট্টগ্রামের গণমানুষের মত আমিও মনে করি এই হঠকারী এবং অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং বেসরকারি সংস্থাটির বেরিয়ে আসা। চট্টগ্রামে রেলওয়ের অনেক পরিত্যক্ত জায়গা রয়েছে। সেসব জায়গায় হাসপাতালটি নির্মাণ করা হোক। আর, যদি এখানে অবশ্যই হাসপাতাল নির্মাণ করতে হয় তাহলে সিআরবিতে অবস্থিত জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় থাকা রেলওয়ে হাসপাতালটি সংস্কার করা হোক। সিআরবির শিরিষ গাছকে মেয়র তাঁর কলিজার সাথে তুলনা করে বলেছেন দেড়শ বছরের ঐতিহাসিক এই গাছটি কাটা মানে তার কলিজা কাটা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও সবুজের স্নিগ্ধতায় ভরা এই জায়গাটিতে হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষে নয়। সরকার এবং বিরোধী দলসহ সকল দলমত ও শ্রেণি পেশার মানুষও চায় না হাসপাতালটি নির্মিত হোক। তাই একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের জন্য নগরীর ফুসফুসে কোন হাসপাতাল নয়। সিআরবি আমজনতার সিআরবিই থাকুক। শত শত বছর ধরে ছড়িয়ে যাক তার সৌন্দর্য ও মানসিক হাসপাতাল হিসেবে সিআরবিতে ঠাঁই হোক সকল মানুষের।

শিরীষতলা রক্ষা করতে হবে
রোকেয়া হক

শতশত বৎসরের ঐতিহ্যবাহী স্থান সিআরবি (শিরীষতলা) ছেলেবেলা থেকে এই অবধি অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই স্থানের সাথে গর্ব করার মত। বিদেশ থেকে বিদেশি মেহমানরা আসলে চট্টগ্রাম ঘুরে দেখাতে গেলে আমরা প্রথমেই নিয়ে যাই সিআরবিতে বেড়াতে। ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা।এত ন্যাচারাল বিউটি আর কোন দেশে আছে কিনা সন্দেহ। আর প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে নেচারাল বিউটিগুলো কিছু স্বার্থান্বেষী মুখোশধারী সমাজসেবকদের দ্বারা। এদের থেকে রক্ষা পেতে হলে সমাজের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিরীষতলা রক্ষা করতে হবে।

সকলের সচেতনতায় বাঁচতে পারে প্রাকৃতিক পরিবেশ
শেখ বিবি কাউছার

যেকোনো কাজ করার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা। সে পরিকল্পনার মধ্যে পরিবেশগত বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখা দরকার। মাথায় আসল হুট করে চালু করলাম আবার হুট করে বন্ধ করে দিলাম। এ জন্য প্রয়োজন গবেষণালব্ধ সুষ্ঠু পরিকল্পনা। একটা নতুন কাজ শুরু করলে এটার ফলাফল পঞ্চাশ কিংবা একশত বছর পর কি হবে সেটা মাথায় রেখেই করা উচিত। প্রকৃতির সাথে সমন্বয় করে আমাদের সকল কাজ করা উচিত। বর্তমানে একটি বিষয় খুব আলোচিত আর সেটা হলো চট্টগ্রামের সিআরবিতে বেসরকারি ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান ছয় একর জমিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ ও ৫০ আসনের নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ‘চট্টগ্রামের ফুসফুস’ খ্যাত ছোট-বড় পাহাড়-টিলার সমন্বয়ে মোট ২১০ একর জুড়ে বিস্তৃত এলাকাটি।
ভাবতেই অবাক লাগে কাজটি শুরু হলে কাটা হতে পারে বেশি কিছু গাছগাছালি। যার ফলে পরিবেশগত হুমকিতে পড়বে পুরো এলাকাটি। চট্টগ্রাম শহরের বুকে এমন বৃক্ষশোভিত উন্মুক্ত উদ্যোন আর আছে বলে মনে হয় না। আর এই জায়গাটির গুরুত্ব ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে। তাই আর সে আলোচনায় যাব না। কিন্তু আফসোস একুশ শতকের এই করোনা মহামারি থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারলাম না যে, কৃত্রিম অক্সিজেনের ভিড়ে প্রাকৃতিক অঙিজেন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অতএব সকলের সচেতনতায় বাঁচতে পারে এই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। একজন নাগরিক হিসেবে এই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই।

সিআরবিতে হাসপাতাল নয়
মুহাম্মদ জামাল হোসেন

পাহাড় নদী সমতল ভূমির সমন্বয়ে অপরূপ এই চট্টগ্রাম। প্রকৃতির দান এই সুন্দর বাস ভূমিকে জঞ্জালে পরিণত করার অপচেষ্টা বন্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি সিআরবির বেদখলে থাকা ভূমি উদ্ধার করে দৃষ্টিনন্দন ন্যাচারেল পার্ক তৈরির করারও আবেদন করছি। কেননা প্রায় এক কোটি জনবসতির এই চট্টগ্রামের মানুষের বিনোদনে নগরীতে তেমন কোন পার্ক নেই। ইতিপূর্বে আউটার স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের আশে পাশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নগরীর ছোট ছোট পার্কগুলোতে বিভিন্ন স্থাপনা এবং ফুটপাত সমূহে দোকান-পাট হয়ে মানুষে হাঁটাচলার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতাল আমাদের প্রয়োজন তবে এই সৌন্দর্য্য বিনোদন কেন্দ্র নষ্ট করে নয়। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের সুবাদে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা এখন নগরবাসীর হাতের নাগালে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো আধুনিক হাসপাতাল নেই। নগরী অভ্যন্তরে বহু আধুনিক হাসপাতালের বাইরেও আগ্রাবাদে মা ও শিশু ক্যান্সার হাসপাতালের একটি খুব বড় প্রকল্প দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। অপরদিকে নগরী উত্তর দিকে অনন্যা আবাসিকে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু হয়েছে। এমত অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীকে গিঞ্জি পরিবেশ সৃষ্টি না করার জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন রইল।

সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রতিহত করতে হবে
শীলা দাশগুপ্তা

আজ আমরা মেহেদীবাগ, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, এই সব জায়গাগুলোর দিকে তাকালে কি দেখতে পাই? কত সুন্দর পরিবেশ ছিল এই সব হাউজিং সোসাইটিগুলোতে, কিন্তু যখন এসব জায়গাগুলোতে এক একটি বড় হাসপাতাল নির্মিত হলো, তখন থেকেই দেখা দিল যানজট, হাজারো দোকানপাট, শব্দ দূষণ আর কোলাহলপূর্ণ স্থান হিসেবে। সিআরবিতে তাই হবে। হয়তো রেলওয়ে কলোনি (গোয়ালপাড়া) দিকে হাসপাতাল, কিন্তু সেটাও তো একটা জনবহুল এলাকা। হাসপাতাল আর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা কি এক সাথে হতে পারে? বিজ্ঞান কি বলে? পরিবেশ কি দূষিত হয় না? হাসপাতালকে কেন্দ্র করে সিআরবির এই শান্ত পরিবেশ কি অশান্ত হয়ে উঠবে না? একজন বৃদ্ধ হার্টের রোগী, একজন মা, একজন বোন, একটি শিশুকি পারবে এমন শান্ত স্নিগ্ধ, কোলাহলহীন মুক্ত পরিবেশ, হাসপাতাল ঘেরা সিআরবিতে ঘুরতে? পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ কি পারবে ২ দিনব্যাপী মাইক বাজিয়ে বাংলার নববর্ষ উদযাপন করতে? পারবে না, কেননা তা হবে রোগীর জন্য শব্দ দূষণের মত ক্ষতিকারক কারণ। যানজট হবে নিত্যসঙ্গী। আর এই পরিবেশকে ঘিরে গড়ে উঠবে গুন্ডা-বাটপার আর দালালদের আড্ডাখানা। কোন ভালো সচেতন মানুষ আর যেতে পারবে না এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা শিরিষ তলায়। হ্যাঁ আমাদের হাসপাতালেরও প্রয়োজন আছে, হোক হাসপাতাল, তবে তা হোক রেলওয়ের পড়ে থাকা অন্য কোন খোলা জায়গায়। যেখানে নেই কোন ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জনবসতি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষা করার জন্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তাই আমাদের মতামত সিআরবির মতো পরিবেশ বান্ধব স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ না করে তা করা হোক অন্যত্র কোন খোলা জায়গায়। যেখানে হাসপাতাল, মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশ কোনটারই ক্ষতি হবে না।

সিআরবিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করা যাবে না
অধ্যাপক (ডা.) বাসনা মুহুরী

সিআরবি চট্টগ্রামবাসীর সকাল বিকাল বিশুদ্ধ নিশ্বাস নেবার একটুখানি জায়গা, যেখানে আছে যেমন: হাজার বছরের ইতিহাস, তেমনি এইপাথরের শহরে একটু সবুজ আচ্ছাদিত অবকাশের জায়গা। এ জায়গায় কোনভাবেই তার প্রকৃতি বিনষ্ট করে কোনো স্থাপনাই হতে পারে না, হাসপাতাল তো নয়ই। সকাল বিকাল শিশু-কিশোর আবাল বৃদ্ধ-বণিতার প্রাতঃভ্রমণ, বৈকালিক ভ্রমণ, একটুখানি খেলাধুলা ঘুরে বেড়ানোর জায়গা পায় এ যান্ত্রিক জীবনে, যান্ত্রিক শহরে তা আমরা কোনভাবেই বিনষ্ট হতে দেবো না। আমি একজন চিকিৎসক হিসাবে মনে করি অবশ্যই অবশ্যই আমাদের এ শহরে স্বাস্থ্যসেবার বিস্তৃতির জন্য আরো অনেক অনেক হাসপাতাল দরকার, কিন্তু সেটা কোনভাবেই সিআরবির মত জায়গায় নয়, পরিবেশ নষ্ট করে নয়। সিআরবির স্নিগ্ধ, মায়াবী পরিবেশ প্রতিটি পরিবেশপ্রেমী মানুষের প্রাণের জায়গা। তাছাড়া আমি মনে করি এশহরের বুকব্যবচ্ছেদ করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নয়। আমাদের প্রয়োজন বিশেষায়িত হাসপাতাল- কিডনি রোগের, হৃদরোগের, নিউরোলজি, ক্যান্সার, শিশু ইত্যাদি এবং এসব প্রতিষ্ঠান শহরের ভিতরে পরিবেশ বিনষ্ট করে ও ঐতিহাসিক স্থানে নয়। এগুলো অনন্যা, ফৌজদারহাট কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে যেখানে কোন জানজটের সৃষ্টি হবে না চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জনগণের জন্য সুবিধা হবে এসব জায়গায়। তাই কারো কারো স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা আমাদের সিআরবির পরিবেশ কোনোভাবেই নষ্ট হতে দিতে পারি না। আশাকরি, আমাদের প্রাণপ্রিয় পরিবেশ বান্ধব প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর যৌক্তিক প্রতিবাদের বিষয়টা উপলব্ধি করবেন এবং সিআরবিতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করার পরিকল্পনা বাতিল করবেন।

যদি সামান্য টাকার লোভে সবুজ প্রকৃতিকে অন্যের
হাতে তুলে দেই- ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না
হাসান মনসুর

ইউটার্ন নিচ্ছে কিছু দলবাজ নেতাদের চাকরবাকর টাইপের টাউট। অথচ সকালেও এরা বলেছিল সিআরবি এলাকায় কোনো স্থাপনা করা যাবে না। আর এখন বলছে গোয়ালপাড়ায় আশেপাশে করবে। মাননীয় রেলমন্ত্রীসহ পরিকল্পনা বিশারদদের বলি- হাসপাতালের প্রকল্প, প্রস্তাবিত স্থান এসব মুলা ঝোলানো কথামালা পানিতে চুবান। আপনারা কি জানেন না? চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে কেন্দ্র করে- চকবাজার আন্দরকিল্লায় ফার্মেসী, প্যাথলজি, ডাবের দোকান, ফলের দোকান, ক্লিনিক, প্রায় উপশহর তৈরি হয়েছে কয়েক কি.মি দূরে পর্যন্ত। গোয়ালপাড়া এনায়েত বাজারে ৫০০ শয্যার মেডিকেল হলে- শিরিষতলা হয়ে যাবে হাটবাজার, রোগীদের স্বজনদের আনঅফিসিয়াল বিশ্রামাগার, টং দোকান চায়ের দোকানে হারিয়ে যাবে নৈসর্গিক সৌন্দর্য। সাবধান নগরবাসী। ইতিমধ্যে খেলাধুলোর পীঠস্থান আউটার স্টেডিয়াম জিদাজিদির খেসারতে প্রায় পরিত্যক্ত প্রায়। মেহেদীবাগ সিডিএ কলোনি খেলার মাঠ, সার্কিট হাউজ মাঠ, জাম্বুরী ফিল্ড- অনেক নান্দনিক স্থাপনা প্রায় অতীত স্মৃতি। আমরা চাইনা- কথামালা, প্রতিশ্রুতি, আশ্বাস, কলা, মুলা ঝোলানো। চাই সুস্পষ্ট ঘোষণা- ‘সিআরবিতে হাসপাতাল বানানোর সিদ্ধান্ত বাতিল’ এ ধরনের প্রেসনোট। সস্তা রাজনীতি, দলবাজি, নেতা পূজা করতে গিয়ে- নিজের প্রজন্ম, নগরের ক্ষতি করবেন না।এটা আমাদের কারো পৈতৃক সম্পদ নয়। বানালে ১০ জনের যা হবে, আমারও তা হবে। কিন্ত ইতিহাস, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। দালালি করতে গিয়ে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা নিজেদের মা বোনদের তুলে দিয়েছিলেন। আজও তারা ধিকৃত। আমরা যদি ইউনাইটেড হাসপাতালের বেনিয়াদের হাতে সামান্য টাকা, টেন্ডার, কমিশনের লোভে সবুজ প্রকৃতিকে তুলে দেই- ইতিহাস আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না। সরকারের সব সিদ্ধান্ত রাজনীতিবিদরা নেন না। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নিয়ে- প্রশাসন, সরকারি আমলাদের কিছু যায় আসে না। প্রকল্প প্রস্তাব পাস হলেই ধান্ধা, কমিশন তারা নিয়ে ভাগবে- আর এসব কুকর্মের দায় এসে পড়ে সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলের। তাই আমলাদের সুবিধায় করা সব সরকারি সিদ্ধান্তকে মানতে হবে- সে রকম রাজনীতি করার চেয়ে না করাই উত্তম। রাজনীতি করতে হলে নিজের বিবেককে সামনে রেখে- সত্য কথা বলতে হবে, এটাই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা। রাজনীতি মানেই সত্যকে ধারণ করা, মানুষ ও দেশের কল্যাণে কাজ করা। এই হাসপাতাল তৈরি করতে লাগবে ১২ বছর। এতো বড় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তাও বেসরকারি খাতে- কার সুবিধার্থে? এটা তদন্ত করতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে- এই দেশবিরোধী অপশক্তিকে। ৫০ বছর ব্যবসা করে ইউনাইটেড হাসপাতাল- এটি রেলওয়ে কে দান করবে! ১২ বছর বানাতে আর ৫০ বছর বাণিজ্যে, মোট ৬২ বছর- মানুষ কবে এর সুফল পাবে? বাঁচে কতো বছর মানুষ? টাকা, কমিশন, নগদ পেয়ে- নিজের মা বোনকে তুলে দেয়ার মতো- কুবুদ্ধি ভরা দুষ্ট লোক ছাড়া এরকম প্রোজেক্ট প্রোফাইল কেউ তৈরি করতে পারবে না। আমরা এখন পরিণত বয়সী- আজ আছি কাল নাই। আমাদের পিতৃপুরুষরা আমাদের জন্য রেখে গিয়েছিল সুন্দর একটা পরিবেশ। এটা অবিকৃত রাখতে পারলে সকলের লাভ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধমোছাম্মৎ নূরমহল বেগম