দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৩৮ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত করেছে সরকার। এরমধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে ১৩ ব্যবসায়ী। অন্যদিকে পদাধিকারবলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৩৮ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা। সেই তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি। গত বুধবার দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০১৮ সালের জন্য মোট ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম থেকে সিআইপি নির্বাচিতরা হলেন হিমায়িত খাদ্য একক ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোডের ফৌজদারহাট শিল্প এলাকার সী মার্ক (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল আহমেদ ওবিই ডিবিএ, ওভেন গার্মেন্টস (একক) ক্যাটাগরিতে কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার স্মার্ট জিনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান, ওভেন গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে চান্দগাঁওয়ের ওয়েল গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এগ্রো প্রসেসিং (একক) ক্যাটাগরিতে আগ্রাবাদ পাঠানটুলির কিষোয়ান স্ন্যাক্সের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, নীটওয়ার (একক) ক্যাটাগরিতে ডবলমুরিং এলাকার ফোর এইচ ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, নীটওয়ার (একক) ক্যাটাগরিতে গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে মেহেদিবাগের কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকার ক্লিফটন গ্রুপের পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এছাড়া বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোডের মেরিন সেফটি সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা অংশীদার কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে কালুরঘাট শিল্প এলাকার সানজি টেক্সটাইস মিলস লিমিটেডের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে সদরঘাটের বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে কর্ণফুলী চরপাথরঘাটার নিহাও ফুড কোং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌমেন্দু বসু, ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে শেখ মুজিব রোডের আরএম ইন্টারলাইনিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজেহারুল ইসলাম। অন্যদিকে সিআইপি ট্রেডে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার প্রতিনিধি ও এফবিসিসিআই পরিচালক মাহবুবুল আলম।
উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে সিআইপির ব্যবসায় সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে ‘লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন’ ইস্যু করতে পারবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
