সাংবাদিক কলামিস্ট মোস্তফা কামাল পাশার ইন্তেকাল

প্রধানমন্ত্রীর শোক

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মোস্তফা কামাল পাশা আর নেই। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে… রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র ও এক মেয়ে রেখে যান। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মোস্তফা কামাল পাশার ইন্তেকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান বরেণ্য এই সাংবাদিকের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার মসজিদ সংলগ্ন চত্ত্বরে তাঁর প্রথম জানাজা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ আছর তৃতীয় জানাজা শেষে হাটহাজারীর পশ্চিম ধলই মীর বাড়িস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, মোস্তফা কামাল পাশা ১৯৫২ সালে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই মীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মীর আবদুল ওয়ারেস। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন উত্তন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। নিবেদিতপ্রাণ এই সাংবাদিক গত শতকের ৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীতে কর্মজীবন শুরু করেন। আজাদীর প্রতি বিভাগে তাঁর ব্যতিক্রমী শব্দচাষ সবার মনোযোগ কাড়ে। সাহিত্যের নানা শাখায়ও তিনি কুসুম ফুটিয়েছেন। ছোটদের জন্য নানা স্বাদের লেখা ও গল্পসহ তাঁর প্রকাশিত ছোটগল্পের সংখ্যা কয়েক শত। আমৃত্যু আজাদীতে কলাম লিখেছেন। একইসাথে বিভিন্ন দৈনিকে নানা স্বাদের কলাম উপহার দিতে থাকেন। তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ দুটি : ঠিকানা লাশকাটা ঘর (বড়দের), ভয় নেই আমরা আছি (ছোটদের)। উপন্যাসগুলো হচ্ছে-নীল বিষের ছোঁয়া, চন্দ্রিমা, উড়ুক্কু পোকামাকড়, পাঁচমিশালী গ্রন্থ : আল্লাহর ঘরে আগন্তুক। মাঝখানেও একটা মহাকাশ নিয়ে কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক উপন্যাস রচনা করেছেন। বরাবরই বাংলা ভাষাকে টানা বেগবান ও শোধনের চেষ্টা ছিল তাঁর – সাংবাদিকতা, সাহিত্য- সবক্ষেত্রে। গাঙচিল নামে ছোটদের একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। চালু করেছিলেন গাঙচিল শিশুসাহিত্য পুরস্কার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম করোনা শূন্য টানা চারদিন
পরবর্তী নিবন্ধচক্রাকারে বাস চালুর দাবি