চট্টগ্রাম করোনা শূন্য টানা চারদিন

তবু শঙ্কা কাটেনি স্বাস্থ্য বিভাগের

| শনিবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায়ও নতুন কোনো সংক্রমণ না পাওয়ায় একটানা চারদিন করোনাশূন্য কেটেছে। তবে এ অবস্থাকে করোনামুক্ত বলতে নারাজ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপরন্তু মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতায় উৎকণ্ঠিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খবর বাসসের।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গতকাল পাঠানো রিপোর্টে জানা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে গত বৃহস্পতিবার ২৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি। ফলে জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৩৪ জনই রয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৯৬ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩৮ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে বৃহস্পতিবার শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারসহ একটানা চারদিন চট্টগ্রাম করোনার সংক্রমণশূন্য ছিল। এর আগে জেলায় সর্বশেষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণহীন দিন কেটেছে ১৩ এপ্রিল। চলতি মাসের প্রথম চৌদ্দ দিনের মধ্যে ১, ৩, ৪, ৬, ৯, ১১, ১২ ও ১৩ এপ্রিলসহ মোট ৯ দিন করোনাবিহীন ছিল। ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ২১ নভেম্বর চট্টগ্রামে প্রথম করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ৩০ মার্চ কোনো নতুন আক্রান্ত পাওয়া যায়নি জেলায়। ফলে বিগত দুই বছরে চট্টগ্রাম জেলায় মোট বারো দিন করোনার নতুন সংক্রমণবিহীন সময় পার হয়েছে।
এদিকে, চারদিনের টানা করোনাশূন্য পরিস্থিতিকে চূড়ান্ত স্বস্তির মানতে নারাজ চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারদিন ছয়দিন নয়, টানা দুই সপ্তাহ নতুন সংক্রমণ না পেলে আমরা জেলাকে করোনাশূন্য বলতে পারবো। তবে স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সাধারণ মানুষের চরম উদাসিনতায় আমরা উৎকণ্ঠিত। সরকার করোনার চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মাস্ক পরিধানসহ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন, অন্য বিধিনিষেধও মানছেন না।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতির ওপর গভীর মনযোগ রেখেছেন। তারা যতক্ষণ আমাদের করোনামুক্ত ঘোষণা না করেন ততক্ষণ আমরা শঙ্কামুক্ত হতে পারি না। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি আবার কিছুটা খারাপ হয়েছে। একদিনেই দেড় লাখ সংক্রমণ ঘটেছে। এটা আমাদের জন্য শিক্ষা হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিল্পপতি করম আলীর ইন্তেকাল
পরবর্তী নিবন্ধসাংবাদিক কলামিস্ট মোস্তফা কামাল পাশার ইন্তেকাল