সর্বকালের বঙ্গবন্ধু :সবার হৃদয়ে গাঁথা

নাসের রহমান | রবিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর পরিচয় অনেক। প্রথম পরিচয় টুঙ্গিপাড়ার খোকা। কৈশোর উর্ত্তীণের পর শেখ মুজিব নামে বেড়ে উঠতে থাকেন। তখন থেকে তাঁর মাঝে মানব সেবা ও দাবী আদায়ের মনোভাব গড়ে উঠে। একইসাথে সাংগঠনিক তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়। স্কুলের সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার আগে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে আসেন। রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হন এবং তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় শুরু হয়।
মানুষের সাথে মিশে যেতে পারার এক অপূর্ব ক্ষমতা তাঁর। অতি সহজে তিনি মানুষদের আপন করে নিতে পারেন। অদ্ভুদ এক সম্মোহনী শক্তি তাঁর মাঝে বিরাজ করে। একবার যার সাথে দেখা হয়েছে তাকে আপন করে নিয়েছে। তার নাম ধাম মনে রেখেছে। সে আর কখনো ছেড়ে যেতে পারেনি, ভুলতে পারেনি তাকে। গ্রাম গঞ্জের মানুষের এমনকি গোপালগঞ্জের সবার কাছে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর রাজনীতির এ পরিচয় গোপালগঞ্জের সীমানা পেরিয়ে বৃহত্তর ফরিদপুরে ছড়িয়ে পড়ে।
কলকাতার ইসলামীয়া কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তাঁর রাজনৈতিক পরিমন্ডল অনেক বেড়ে যায়। এসময় তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ব্যাপকতা লাভ করতে থাকে। তিনি ছাত্র নেতা থেকে সাধারণ মানুষের নেতায় পরিণত হন। দেশের মানুষের কাছে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। মানুষের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সবাইকে সংগঠিত করে নেতৃত্ব প্রদানে অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দেন। ছাত্র-জনতার কাছে তিনি মুজিব ভাই নামে পরিচিত হয়ে উঠেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি শেখ মুজিবের অসাধারণ সংগঠনিক ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হন। তার মাঝে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের স্বপ্ন খুঁজে পান। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি কলকাতার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর কাছেও রাজনৈতিক দীক্ষা নেন। তিনি মুজিবের নেতৃত্বে অসীম সম্ভাবনা দেখতে পান। বুঝতে পারেন শেখ মুজিবই একদিন এদেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেতা হবে। তার পেছনে বাংলার মানুষ একতাবদ্ধ হবে। সে মানুষদের মুক্তির পথ দেখাবে।
১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের সময় শেখ মুজিব একজন পরিচিত নেতা। বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য রেখে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তাঁর বক্তৃতা মানুষ মনোযোগ দিয়ে শোনে। মানুষের মনে তার বক্তব্য রেখাপাত করে। তিনি এমনভাবে বক্তৃতা করেন উপস্থিত সবাই মনে করে শেখ মুজিব তাদের কথা বলছে। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দেশ বিভাগের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে মানুষদের বুঝাতে চেষ্টা করেন। সেসময়ে তিনি একজন অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। এ সময়ে মাঠ পর্যায়ের নেতারা বুঝতে পারেনি বাংলা যে ভাগ হয়ে যাবে। শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে আসতে সময় লেগে যেতো।
নতুন রাষ্ট্রে মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটার যে স্বপ্ন তা যেন অচিরে বাধাপ্রাপ্ত হলো। পূর্ব বাংলার মানুষ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন দেখা দিল। শেখ মুজিব তখন কারাগারে বন্দি। এর আগে তিনি কয়েকবার জেলে গিয়েছেন। জেলখানা থেকে তার পরামর্শে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হলো। তিনি দলের সহ-সম্পাদক মনোনীত হলেন। পরবর্তীতে এ দলটি দেশের মানুষের আশা ভরসার জায়গা হয়ে উঠে। শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ এ দেশের সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে থাকে।
৫২এর ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলার মানুষদের স্বাধিকার আন্দোলনের দিকে নিয়ে যায়। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ঢাকায় মিছিল মিটিং ও সমাবেশ করেন। ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে হরতাল ও পিকেটিংএ অংশ নেন। ভাষা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য সভা সমাবেশের আয়োজন করেন। পুলিশী অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে তাকেও জেলে যেতে হয়। জেলে বসে তিনি ভাষা আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন যখন ছাত্র জনতার আন্দোলনে রূপ নেয় তখন তিনি ফরিদপুর জেলে। এ বন্দী দশায় তিনি আরো কয়েকজনকে নিয়ে অনশন ধর্মঘট পালন করেন। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলা ভাষাকে রাষ্টভাষার মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
৫৪এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে পূর্ব বাংলার মানুষ নিজেদের অধিকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের ঢেউ এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। মানুষ যুক্তফ্রন্টকে ভোট দেয়। যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে। শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়। যুক্তফ্রন্ট সরকার বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যেও জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করে। নানামুখী যড়যন্ত্রের কারণে যুক্তফ্রন্ট সরকার বেশিদিন টিকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হলেও রাজনীতির সাথে অর্থাৎ জনগণের কাছাকাছি থাকতে চাইতেন। তিনি সব সময় মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলতেন। মন্ত্রীত্বের চেয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বড় করে দেখতেন।
যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেংগে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পাকিস্তানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিভিন্ন জনসমাবেশে তিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তিনি স্বোচ্চার হতে থাকেন। জেলায় জেলায় গিয়ে জনমত গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ, কল কারখানায় ও গঞ্জে শ্রমিকলীগ এবং গ্রামে গ্রামে কৃষকলীগ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। শেখ মুজিবকে বার বার জেলে যেতে হয়। তিনি এত বেশি রাজনীতি সক্রিয় ছিলেন জেলে বসে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। কারাগারেও তিনি অধিকার আদায় ও আন্দোলন সংগ্রামের কথা বলতেন। ততদিনে তিনি পূর্ব বাংলার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে স্থান করে নেন।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছয় দফা ঘোষণা করেন। এ ছয় দফা বাংগালীর মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পূর্ব বাংলার মানুষ ছয় দফাকে গ্রহণ করে। তিনি শহর বন্দর গ্রামে গঞ্জে সর্বত্র সভা সমাবেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে ছয় দফা তুলে ধরেন। ছয় দফার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের মুক্তি আসতে পারে তা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ মানুষদের বুঝাতে পারে। দৈনিক পত্রিকাগুলো ছয় দফাকে মানুষের কাছে নিয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। এ ছয় দফা বঙ্গবন্ধুকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। আগরতলা ষড়যন্ত্রের মিথ্যা মামলা দিয়েও তাকে আর দাবিয়ে রাখতে পারেনি। জেল জুলুম অত্যাচার নিপীড়ন কোন কিছুই আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। শোষণ বঞ্চনা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মানুষ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে। শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আর্বিভূত হন।
গণজোয়ারে সবকিছু ভেসে যেতে থাকে। ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, জনতা, গ্রামের কৃষক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শ্লোগান উঠে, ‘জেলের তালা ভাঙ্গবো, শেখ মুজিবকে আনব’। স্বৈরচারের ভীত কেঁপে যায়। ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জাতি তাকে বঙ্গবন্ধু অর্থাৎ বাংলার বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে। তারপর থেকে তাঁর নামের আগে বঙ্গবন্ধু শব্দটি যুক্ত হয়। তিনি হয়ে উঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে মানবিক গুণাবলীর অপূর্ব সমন্বয়ে সত্যিকার অর্থে তিনিই হয়ে উঠেন বাংলার মানুষের প্রকৃত বন্ধু। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সবার কাছে বঙ্গবন্ধু নামে পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৭১ এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসর্কোস ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণ বাংগালী জাতীকে এক নতুন দিক নির্দেশনা দেয়। স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের স্বপ্ন দেখায়। মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বাংগালী জাতি তার ঠিকানা খুঁজে পায়। আর বঙ্গবন্ধু পরিণত হন বিশ্ব নেতায়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ২৫ শে মার্চ কালরাতে পকিস্তানী সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাংগালীর উপর আক্রমণ চালায়। ২৬শে মার্চ ভোররাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। সমগ্র জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হলেও তার নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু চলে। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ৭ই মার্চের ভাষণটি এত বেশি সময়পোযোগী সেটি পরবর্তীতে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি বা পয়েস্টস অব পলিটিক্স বলে অবহিত করা হয়।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্থান করে নেয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত হন। বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকায় বঙ্গবন্ধুর দিকে। বাংলাদেশের এ মহান স্থপতিকে পাকিস্তানীরা আর বেশিদিন বন্দি করে রাখতে পারেনি। ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু বিজয়ের মহানায়ক হিসেবে স্বদেশে ফিরে আসেন। লক্ষ কোটি বাঙালির হৃদয়ে তিনি স্থান করে নেন। মানুষের আকুষ্ঠ ভালবাসায় তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে যান। বীর বাংগালীর অসীম সাহস ও বীরত্ব গাথাঁয় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়। তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনগঠন করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখান।
বঙ্গবন্ধুর আরেকটি পরিচয় তিনি জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন। মানবতা ও শোষিতের পক্ষে তার অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কোন পরাশক্তির সাথে তিনি আতাঁত করেননি। কোন দেশের সাথে বৈরী মনোভাব নয়, সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নীতিতে বিশ্বাসী। সবক্ষেত্রে তিনি মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব দেশ বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে তাদের সাথেও সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের সহায়তা লাভ করেন। তিনি দশ মাসের মধ্যে জাতীকে একটি অনন্য সাধারণ সংবিধান উপহার দিতে সক্ষম হন।
দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অসমান্য অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু বাংগালী জাতির পিতা হিসেবে সম্মানিত হন। বাংগালী জাতি তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করে। আজীবন তিনি দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জীবনের অনেক বছর জেল কেটেছেন। অনেক অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ তাঁর নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে। তাঁর আত্মত্যাগ এবং সাফল্যগাথা বাংগালী জাতিকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বঙ্গবন্ধুকে মনোনীত করেছে। তিনিই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
বঙ্গবন্ধু এদেশের প্রধানমন্ত্রী আবার রাষ্ট্রপতিও। তিনি সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের পদও অলংকৃত করেন। খুব কম রাজনৈতিক নেতা আছে যিনি একাধারে প্রধানমন্ত্রী আবার রাষ্ট্রপতিও। তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে তিনি সাড়ে তিন বছরে পুনর্গঠন করেন।
বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলো পরিচয়ের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বড়। সবাই বলবে জাতির পিতা পরিচয়ই সবচেয়ে বেশি সম্মানের। জাতির পিতা একজনই হতে পারে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিও একজন। তবে সংবিধানিকভাবে জাতির পিতা একজনই হতে পারে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিও একজন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম পরিচয় তিনি একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। তিনি কোন নির্দিষ্ট সময়ের নেতা নন। তিনি সর্বকালের সর্বযুগের মহানায়ক। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি গণমানুষের নেতা। সবার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু পরিচয়টি যেন সবার হৃদয়ে গাঁথা। তিনি সর্বকালের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও ব্যাংকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতির জনক বঙ্গবধন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর বৈজ্ঞানিক মানসচিন্তা