সমাধান কবে, প্রশ্ন সেবাগ্রহীতাদের

কাস্টমসে সার্ভার বিভ্রাট

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে শুল্কায়নে সার্ভার বিভ্রাট যেন নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা সমাধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও কার্যত কোনো সুফল পাচ্ছেন না সেবাগ্রহীরা। উল্টো দিন দিন এই সমস্যা প্রকট হচ্ছে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাস্টমসের সার্ভার সিস্টেমের ত্রুটির কারণে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। সিস্টেমে যে বিল অব এন্ট্রি কয়েক সেকেন্ডে দাখিল হওয়ার কথা সেটিতে সময় লাগছে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত। এতে ব্যবসায়ীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। সার্ভার সমস্যার সমাধান কবে হবে, এই প্রশ্ন আমরা কাস্টমস কর্তাদের অনেকবার করেছি, কিন্তু বারবার আমরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই পায়নি। তবে কাস্টমস কর্তারা বলছেন, নতুন করে সার্ভার সেটআপ করে মাইগ্রেশন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে টেকনিক্যাল কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে সমস্যাটা অত বড় না।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও গত ২০১৩ সাল থেকে কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আামদানি রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝেই সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে একাধিকবার সার্ভারের ত্রুটির কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম টানা বন্ধ ছিল। কাস্টমসে আমদানি-রপ্তানি মিলে প্রতিদিন গড়ে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পর্যন্ত বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যা অনেকদিনের। একপ্রকার জোড়াতালি দিয়ে চলছে সার্ভার সিস্টেম। সার্ভার স্লো হওয়ার কারণে আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। এটি প্রভাব পড়ছে পণ্য খালাসেও। এখন তো কাস্টমস কর্তাদের অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে লগিন দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মোবাইলে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) নম্বর যায়, সেই নম্বর সিস্টেমে ইনপুট দিলে তার পাসওয়ার্ড দিতে হয়। ওটিপি আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে হয়, অনেক সময় ওটিপি নম্বর আসতেই দেরি হয়, আবার ওটিপি নম্বর দেয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে, পাসওয়ার্ড দেয়ার পর সার্ভার স্লো হওয়ার কারণে বাফারিং করে। এই সমস্যার কারণে প্রত্যেক সেবাগ্রহীতাকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মোরশেদ আলম বলেন, কাস্টমসের সার্ভার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি আসলে আমি বলতে পারবো না। তবে সার্ভারের কারণে আমাদের কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিনা অনুমতিতে রাস্তা কাটলে কঠোর ব্যবস্থা : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধআইইএলটিএস, টোয়েফল, স্যাট, বিবিএ(আইবিএ)-তে সাফল্য পেতে এক্সিকিউটিভ’স কেয়ার