বিনা অনুমতিতে রাস্তা কাটলে কঠোর ব্যবস্থা : মেয়র

জলাবদ্ধতা ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সমস্যা সমাধানে সমন্বয় সভা উচ্ছেদকৃত স্থাপনা পুনঃদখল বন্ধে হবে সৌন্দর্য বর্ধনকারী বাগান

| শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা বা অন্যকোনো সংস্থা বিনা অনুমতিতে নগরীর কোনো রাস্তা কর্তন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া জবাবদিহি করতে হবে চসিক প্রকৌশলীদেরও। মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে কাজ চলমান আছে সেখানে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানকল্পে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হবে। তিনি চসিকের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে বন্দর, কাস্টম থেকে যে কর আদায় করার পরিকল্পনা আছে তা বাস্তাবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে পত্র প্রেরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে কে বি আব্দুস ছাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২০তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরীতে ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানকে আরো জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, উচ্ছেদকৃত অবৈধ স্থাপনাসমূহ যাতে পুনঃদখল হতে না পারে সে জন্য বেষ্টনি দিয়ে বাগান তৈরি অথবা ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ যেসব উপকূলীয় ওয়ার্ড আছে সেখানে খাওয়ার পানির সংকট তীব্র, বিষয়টি সম্পর্কে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করা হলেও তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে খাবার পানি সংকট নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
মেয়র ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রকোপ রোধে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও এডিস মশার উৎপত্তি স্থান ধ্বংস এবং নিয়মিতভাবে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। নগরীর যে সব স্থানে এলইডি টেলিভিশন স্থাপনের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের তালিকা তৈরি করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন মেয়র। এছাড়া মেয়র পিডিবিকে রাস্তা সংস্কারের পর পড়ে থাকা পোল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
মেয়র জানান, দুই হাজার পাঁচশ কোটি টাকার নগর উন্নয়ন প্রকল্প সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য নতুনভাবে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার অভিজ্ঞতার আলোকে এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম নগরীকে একটি নান্দনিক নগরী হিসেবে গড়তে হলে সকল সেবা সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে মেয়র বলেন, আইনশৃক্সখলা রক্ষা বাহিনী, চসিকের নির্বাচিত কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধ ও নাগরিক সমাজকে যেকোনো সমস্যার জবাবদিহি করতে হয় বলে নগরীর প্রতিটি উন্নয়ন কাজে তাদের সম্পৃক্ত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি ও বিভাগীয় প্রধানগণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচার নাতি-নাতনিকে নিয়ে নির্বাক বৃদ্ধ শামসুদ্দীন
পরবর্তী নিবন্ধসমাধান কবে, প্রশ্ন সেবাগ্রহীতাদের