সব পথ এসে মিশেছে বহদ্দারবাড়িতে

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে রাত-সারাক্ষণ জনস্রোত। নেতাকর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ফুল হাতে আসছেন বহদ্দারহাট বহদ্দারবাড়িতে। স্থানীয়দের মুখেও সেই কথা, নগরীর সব পথ যেন এসে মিশেছে বহদ্দারবাড়িতে। সবার মাঝে আবেগ আর উচ্ছ্বাস। ভালোবাসা জানাচ্ছেন নবনির্বাচিত নগরপিতা রেজাউল করিম চৌধুরীকে। সকালে ও সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে অপেক্ষা করছেন শত শত মানুষ। তারা নতুন মেয়রের সাথে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জানাবেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন ভোট গণনাকালে সন্ধার পর থেকে রেজাউলের বিজয়ের পাল্লা ভারী হতে থাকে। বহদ্দারবাড়ি সংলগ্ন নবনির্বাচিত মেয়রের বাড়ি ঘিরে তখন থেকে নেতাকর্মী আর সমর্থকসহ নানা শ্রেণীর মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সেই ভিড় এখনো লেগে আছে। এত আবেগ, এত উচ্ছ্বাস এর আগে কখনো দেখা যায়নি বহদ্দারবাড়িতে। এর আগে ২০১৫ সালে আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র নির্বাচিত হলে আন্দরকিল্লার মোহাদ্দেস ভিলায় একই দৃশ্য দেখা যায়। তারও আগে ২০০৫ সালের নির্বাচনে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তাক লাগানো বিজয়ে চশমা হিলের বাসভবন ফুলে ফুলে ভরে উঠেছিল। জনস্রোতে মুখরিত হয়েছিল ভবনটি।
নতুন নগরপিতার বাড়ি ঘিরে এমন কোলাহল এর আগে কখনো দেখেননি বলে জানান স্থানীয়রা। তারা জানান, ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে বহদ্দারবাড়িসহ আশেপাশের এলাকাজুড়ে মানুষের ভিড় লেগে আছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষ আসছে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে নবনির্বাচিত মেয়রের ড্রয়িং রুম, গেস্ট রুম থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়সহ বাড়ির আঙিনা। পতেঙ্গা থেকে ফতেয়াবাদ, বাকলিয়া থেকে কাট্টলী কোনো ওয়ার্ড বাদ নেই। দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলকর্মী, সমাজকর্মী থেকে পেশাজীবী কেউ বাদ যাননি। সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নতুন মেয়রকে।
২৭ জানুয়ারির চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেজাউল বলেছেন, তিনি চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব নিরাপদ নান্দনিক পর্যটন নগরী হিসেবে সাজাতে চান। এছাড়া ১শ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনায় প্রথমে আছে মশার উপদ্রব রোধ করার কথা। এছাড়া কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক সংস্কার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিক্ষিপ্ত সংঘাত, বর্জনে শেষ তৃতীয় ধাপের পৌর নির্বাচন
পরবর্তী নিবন্ধ‘সম্পত্তি নয়, পিতৃ পরিচয় চাই’