দল এবং নিজের পারফরম্যান্সে দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তামিম এবং বাংলাদেশ। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এই ওপেনার। দলের জয়ে সব সময় অবদান রেখে চলেছেন। এবার যেমন ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে নতুন মাইলফলক উন্মোচন করলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সবার আগে ৮ হাজার রানের মাইলফলকে প্রবেশ করলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৫৭তম রান নেওয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ৮ হাজার রান পূরণ হয়েছে তামিমের। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারের ওয়ানডেতে সাত হাজার রানও নেই। স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে এই মাইলফলকে ঢুকলেন তামিম। এর আগে ৫ হাজার, ৬ হাজার ও ৭ হাজার রানেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবার আগে নাম লিখিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। তবে মাইলফলকে প্রবেশ করার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তামিম। ইনিংসের ২৬তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে আউট হওয়ার আগে ৮৮ বলে নয়টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করে ফিরেন টাইগার অধিনায়ক। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফসেঞ্চুরি। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে লিটন দাশকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন তামিম। রিচার্ড এনগারাভার করা প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলই ছিল ডট। শেষ বলে ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন তামিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিমের অভিষেক হয় ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই থেকে গতকাল পর্যন্ত ২২৯ ম্যাচে রান করেছেন তামিম ৮০০৫। যেখানে সেঞ্চুরি ১৪টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৫৪টি। তামিমের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ১৫৪। টেস্ট ক্রিকেটে তামিমের অভিষেক ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডুনেডিনে। এ পর্যন্ত ৬৯ টেস্টে তামিম করেছেন ৫০৮২ রান। যেখানে ১০টি সেঞ্চুরি এবং ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। টেস্টে তামিমের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ২০৬ রানের। টেস্ট ক্রিকেটে রান তোলার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে তামিম। প্রথম স্থানে থাকা মুশফিকের রান ৮২ টেস্টে ৫২৩৫। টি-টোয়েন্ট ক্রিকেটে তামিম খেলেছেন ৭৮টি ম্যাচ। রান করেছেন ১৭৫৮। যেখানে একটি সেঞ্চুরি এবং ৭টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম। আর কোন ব্যাটারের নেই কোন সেঞ্চুরি। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান সংগ্রাহকের দিক থেকে তিন নাম্বারে রয়েছে তামিম। শীর্ষে থাকা মাহমুদউল্লার রান ২০৭০ এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের রান ২০১০। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তামিমের রান ১৪৮৪৫। যেখানে ২৫টি সেঞ্চুরি এবং ৯২টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে রান তোলার ক্ষেত্রে সবার চাইতে অনেক এগিয়ে তামিম। এর আগে ৬ হাজার ও ৭ হাজার রানের মাইল ফলকও পুরন করেছিলেন তামিম এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে । সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে ৩৩তম ব্যাটার হিসেবে ৮ হাজার রান করলেন তামিম। শুধু ওপেনারদের কথা বিবেচনা করলে, বিশ্বের নবম উদ্বোধনী ব্যাটার হলেন তিনি। তামিমের আগে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান করা ওপেনাররা হলেন শচিন টেন্ডুলকার, সনাৎ জয়াসুরিয়া, ক্রিস গেইল, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, সৌরভ গাঙ্গুলি, ডেসমন্ড হেইন্স, সাঈদ আনোয়ার এবং হাশিম আমলা।