আপনি রক্ত চেয়ে পোষ্ট দিলেন। আপনার কাছে ফোন এলো, ‘‘আমি রক্ত দিব, কিন্তু আপনার প্রয়োজন চকবাজার। আমি থাকি সীতাকুণ্ড। কিভাবে যে আসি! যাঁর জরুরি রক্ত লাগবে তাঁর এত আশপাশ ভাবার সময় নেই। তিনি উত্তর দিলেন, ‘‘ভাইয়া, আমি এখনই আপনাকে ২০০-৩০০ টাকা ট্যাঙি/সিএনজি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছি, তা-ও প্লিজ আসেন।’’ “দিতে পারবেন? কী অদ্ভুত! অনেক মেহেরবানি। আমি রেডি হচ্ছি। আপনি আসা-যাওয়ার ভাড়াটা এই নম্বরে বিকাশ করুন। আমি রওনা দিচ্ছি।” সত্যি খুবই বেদনাদায়ক! এই ‘মেহেরবানি ভাই’ টাকা পাওয়ার পর থেকে লাপাত্তা। একজন স্বেচ্ছাসেবীর জন্য এটি খুবই মর্মান্তিক। মানুষ নামের এই রকম অনেক অমানুষ দেখা যাচ্ছে প্রতারণা করে দিনাতিপাত করছে। প্রতিদিন যেখানে রক্তের চাহিদা প্রায় হাজার খানেক, সেখানে দিনে ৩/৪ জনকে এভাবে ফোন দিয়ে ভাড়া নিলেই তো মাসে তার চলে আসে পনেরো/বিশ হাজার টাকা। যা স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য খুবই বেদনাময়। তাই সচেতনতা অবলম্বন করে স্বেচ্ছাসেবীদের রক্ত দানে এগিয়ে যেতে হবে। কারো জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছাসেবীরা বিনিময় চাইনা। এতে প্রয়োজন উভয়ের সচেতনতা।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী, চট্টগ্রাম