সঙ্গীত এমন মাধ্যম যা সুখেও সঙ্গী হয়, দুঃখেও সঙ্গী হয়

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার অনুষ্ঠান

| শুক্রবার , ১৩ মে, ২০২২ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সঙ্গীত যতদিন থাকবে, ততদিন রবীন্দ্রনাথ থাকবেন। তাঁর গান আমাদের প্রাণিত করবে, উজ্জীবিত করবে। বস্তুত, সঙ্গীত এমন একটা মাধ্যম যা মানুষের সুখেও সঙ্গী হয়, দুঃখেও সঙ্গী হয়।

এম এ মালেক ১৬১তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখা আয়োজিত ‘ভুবনজোড়া আসনখানি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।

গত ১১ মে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে কথামালা ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পী সংস্থার সভাপতি ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে তিন গুণী শিল্পীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন- রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী শীলা মোমেন, আইরিন সাহা ও শাশ্বতী তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শিল্পী লাকী দাশ। পরে ঢাকার মীরা মণ্ডল, শ্রেয়সী রায়, লাকী দাশ, কেশব জিপসী, রতন বিশ্বাস, মহিউদ্দিন, মিসকাতুল মমতাজ মুমুসহ সংস্থার শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে তাঁর গানে কখনো বিদেশি বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করতেন না। চিরায়ত বাদ্যযন্ত্রের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির মনেপ্রাণে প্রতিনিয়ত দোলা দিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি সুখে-দুঃখে বারবার ছুটে যায় রবীন্দ্রনাথে, আশ্রয় খুঁজতে। যত দিন বাংলা ও বাঙালি বেঁচে থাকবে, তত দিন কবিগুরুর নাম হৃদয়ে লেখা থাকবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএলডিপি থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধসঙ্কট নিরসনে সহযোগিতার আশ্বাস তথ্যমন্ত্রীর