শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ডই গড়তে হবে পাকিস্তানকে। কারন তাদের সামনে ৫০৮ রানের বিশাল টার্গেট দাড় করিয়েছে শ্রীলংকা। সে রেকর্ড গড়ে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করেছে পাকিস্তান। আউট হয়ে গেছেন প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে জয় এনে দেয়ার নায়ক আবদুল্লাহ শফিক। মাত্র ১৬ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। পঞ্চম দিনে ম্যাচ জিততে হলে পাকিস্টতানকে করতে হবে আরও ৪১৯ রান। হাতে আছে ৯ উইকেট। ইমাম-উল হক ৪৬ এবং অধিনায়ক বাবর আজম ২৬ রান নিয়ে ব্যাট করবেন। ম্যাচের এখন যা পরিস্থিতি শেষ দিন জেতার চাইতে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের জন্য ম্যাচ বাঁচানো। তাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ইমাম-উল হক এবং বাবর আজমরা কী পারবেন এই টেস্ট বাঁচাতে? যদি শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারে পাকিস্তানিরা তাহলে সিরিজ জিতবে তারাই। শেষ দিনে পাকিস্তানের সামনে বড় বাধা হয়ে দাড়াতে পারে লঙ্কান বাঁ-হাতি স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া। এরই মধ্যে আবদুল্লাহ শফিক তার বলেই উইকেট হারিয়েছেন। আগের ইনিংসগুলোতে দুর্দান্ত বোলিং করে সবার নজর কেড়েছেন এই স্পিনার। শেষদিন যদি তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে সিরিজটি ড্র করতে পারবে লঙ্কানরা। এদিকে জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড করতে হবে পাকিস্তানকে। করতে হবে ৫০৮ রান। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। ৪১৮ রান করে টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডটি দখলে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ডটি গড়েছিলো তারা। পাকিস্তানও একটা রেকর্ড গড়েছিলো আগের ম্যাচে। ৩৪২ রান তাড়া করে গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয় পেয়েছিলো তারা। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল এটি। আবার লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮২ রান করে জয়ের রেকর্ডটিও পাকিস্তানের। তাই বলে ৫০৮ রান তাড়া করা কি সম্ভব। সে প্রশ্নের উত্তর আজ বিকেলেই জানা যাবে । তবে তার আগে আজ দিনভর কি রোমাঞ্চ উপহার দেয় পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা সেটাই দেখার বিষয়। এদিকে আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নামা শ্রীলংকা ৮ উইকেটে ৩৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষনা করে। আর তাতেই পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ৫০৮ রানের। আগের দিন ৩০ রানে অপরাজিত থাকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা তুলে নেন তার সেঞ্চুরি। ১৭১ বলে ১০৯ রান করে ফিরেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ এবং মোহাম্মদ নওয়াজ।
