শীত কম, তাই শীতের কাপড়ের বাজারও মন্দা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

পৌষের প্রথম সপ্তাহ শেষ। পঞ্জিকায় শীত চললেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এবার তুলনামূলকভাবে দেরিতে শীত আসায় গরম কাপড়ের সাথে শহরের মানুষের তেমন একটা সখ্য দেখা যাচ্ছে না। তবে গ্রামাঞ্চলে শীত অনুভূত হচ্ছে তুলনামূলক বেশি। তাই গ্রাম থেকে অনেকে শীতের কাপড় কিনতে মার্কেটে ছুটে আসছেন। বিক্রেতারা জানান, ডিসেম্বর মাস প্রায় শেষের পথে। কিন্তু এখনো শীতের দেখা নাই।

যার ফলে বেচাবিক্রি কম। গতকাল নগরীর টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, শপিং কমপ্লেক্স, সানমার ওস্যান সিটি, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, মতি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবে আশানুরূপ ক্রেতা তেমন চোখে পড়েনি। কয়েকটি মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চীনা তৈরি ব্লেজার মানভেদে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। এছাড়া চামড়ার তৈরি জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায়।

অন্যদিকে চীনা কম্বল আকারভেদে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে দেশীয় শাল ও চাদর বিক্রি করছেন ৪০০ থেকে ৭০০ টাকায়। সুয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা, উলের তৈরি সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের ঈদ ছাড়া শীতের বাজারটিও জমজমাট থাকে। তবে এ বছর শীত কম অনুভূত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা টেনশনে আছেন। তবে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরের মতো নিত্য-নতুন ডিজাইনের ফ্যাশেনবল শীতের কাপড় নিয়ে এসেছে। টেরি বাজারে আসা গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শীত মোটামুটি শুরু হয়েছে। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে এ বছর দাম আগের তুলনায় একটু বেশি মনে হচ্ছে।

জহুর হকার্স মার্কেটে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ইমরান আহমেদ বলেন, শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। যদিও এখনো শহরে খুব বেশি শীত পড়ছে না। তবে শেষ রাতে ও ভোরের দিকে শীত শীত লাগে।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা মতো শীত পড়ছে না। ফলে ব্যবসা মন্দা। আমরা আশা করেছিলাম ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পুরোদমে শীত শুরু হবে। জানুয়ারি মাস শেষ হলে দেখা যাবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে গরম পড়া শুরু হবে। সেই হিসেবে শীতের বাজার খুব মন্দা বলা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধষোলশহর রেলগেটের গেটম্যান বরখাস্ত