প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা প্রয়াত লোকসাধক শাহ আবদুল করিমের গানের রয়্যালিটি হিসেবে পরিবার পেয়েছে ১০ হাজার ডলার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর বাউল সাধকের ৪৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস, সেই গানগুলো থেকে গত এক বছরে সম্মানী পেল তার পরিবার। ব্যাংকে ডলারের বর্তমান বিনিময় হার ধরলে বাংলাদেশের মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া মরমী সাধক হাছন রাজা ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান সংরক্ষণের উদ্যোগও নিয়েছে কপিরাইট অফিস। তিন কীর্তিমানের গান সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট। খবর বিডিনিউজের।
এ প্রক্রিয়ায় এখন থেকে শিল্পী ও তাদের উত্তরাধিকাররা নিয়মিত রয়্যালটি পাবেন। শনিবার সকালে ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালালের হাতে রয়্যালটির চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। প্রতীকী চেক পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নূর জালাল বলেন, বাবা জানতেন না, যে তার গান থেকে কখনও টাকা পাওয়া যাবে। কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগটি বাবা দেখে যেতে পারলে অনেক খুশি হতেন।